নিউজ ডেস্কঃ টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বোনের দায়ের মামলায় চার পুলিশ সদস্যসহ সাত জনকে রিমান্ডে নিয়েছে। তবে এদের মধ্যে নেই ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সোয়া ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে র্যাব সদস্যদের একটি গাড়ি বহরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন।
রিমান্ডে নেয়া চার পুলিশ সদস্য হলেন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। এছাড়া অন্য তিনজন পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী। যাদের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। ওই তিনজন হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।
কারাগারের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালেও এসব আসামিদের রিমান্ডে নিতে র্যাবের একটি গাড়ি বহর কক্সবাজার জেলা কারাগারে এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আসামিদের ছাড়াই ফিরে যায়।
জেল সুপার মোকাম্মেল বলেন, শুক্রবার সকালে একটি গাড়ি বহর কারাগারের পৌঁছানোর পরপরই অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামি চার পুলিশ সদস্য এবং ঘটনায় পুলিশের দায়ের মামলার তিন সাক্ষীকে র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে নেয়া পুলিশের চার সদস্যদের মধ্যে টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত নেই।
তবে তাদেরও পরবর্তীতে রিমান্ডে নিয়ে র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান মোকাম্মেল হোসেন।
গত ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় আদালত প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ দুলালকে সাত দিনের রিমান্ড এবং অন্য চার পুলিশ সদস্যকে জেল গেইটে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়ে মামলাটি তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে গত ৭ ও ৮ আগস্ট চার পুলিশ সদস্যকে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করা হয়। পরে গত ৯ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে ১২ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করেন।
এদিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত ৯ আগস্ট রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ সাক্ষীকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করলে ১২ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করেন।
এ নিয়ে বুধবার (১২ আগস্ট) আদালত চার পুলিশ সদস্যসহ এ সাত আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।