নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও তার বাবার তিন বছর জেল হতে পারে। হরিণের চামড়ার ওপর আলোরকন্ঠ ডেস্কঃ আশীর্বাদ অনুষ্ঠান করায় এ সাজার মুখোমুখি হতে পারেন সৌম্য। প্রচলিত আইনে বন্যপ্রাণীর চামড়া নিজের কাছে রাখা অপরাধ। এমনটি হলে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিস করতে পারেন তিনি। ক্রীড়াবিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকট্র্যাকারের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সৌম্য। সম্প্রতি দীর্ঘদিনের প্রেমিকা প্রিয়ন্তী দেবনাথ পূজার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। চুরি, মারামারি ও মামলা মোকদ্দমা কী হয়নি? এসব ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল হরিণের চামড়া, যেটি সৌম্যর আশীর্বাদের দিন ব্যবহার করা হয়।
বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৬ ধারায় উল্লেখ রয়েছে– লাইসেন্স ছাড়া কোনো জীব কিংবা বণ্যপ্রানীর চামড়া অধিকারে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ক্ষেত্রে তিন বছর বা তদূর্ধ্ব সময় জেল হতে পারে ওই ব্যক্তির।
এ আইনের আওতায় এলে ফেঁসে যেতে পারেন সৌম্যর বাবা কিশোরী মোহন সরকারও। তাকেও ছেলের মতোই কারাভোগ করতে হতে পারে। যদিও তিনি বলেছেন, নিজেদের কাছে হরিণের চামড়া রাখা পারিবারিক ঐতিহ্য। বহুকাল আগে থেকে তার পূর্বপুরুষরা এটি ব্যবহার করে আসছিলেন। সেই সূত্রেই সেটি পেয়েছেন এবং রীতিপ্রথা মেনে পুত্রের আশীর্বাদ সেরেছেন।
সৌম্য ও তার বাবার জেলনির্ভর করছে মামলা-মোকদ্দমার ওপর। কেউ আদালতে মামলা করছে আর সেটি প্রমাণ হলে বিষয়টি বিবেচনাধীন হয়ে পড়বে!
তথ্যসূত্র: ক্রিকট্র্যাকার।