স্টাফ রিপোর্টার ঠাকুরগাঁও। ঠাকুরগাঁওয়ের এগারো বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্র মুরাদ হোসেন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে পরিবারের স্বজন ও স্থানীয়রা।
প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় আনতে সড়ক অবরোধ করে দাবি তুলেন তারা। এ অবস্থায় প্রশাসনের আশ^াসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলেও প্রায় দেড় ঘন্টার বেশি সময় ধরে আটকা পরে চার উপজেলায় প্রবেশ প্রথের যানবাহন।
সন্তান হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধে অংশ নিয়ে এভাবেই কান্না করছিলেন মমতাময়ী মা মুক্তা বেগম। হাত জোর করে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছিলেন মামলার আসামীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের।
এগারো বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্র মুরাদ হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসুচিতে অংশ নেয় পরিবারের স্বন ও স্থানীয়রা। মামলা হলেও আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় রাজপথে এমন আন্দোলনে ফুঁসে উঠেন তারা।
দেড় ঘন্টা বেশি সময় ধরে জেলার চারটি উপজেলার প্রবেশমুখে যানবাহন আটকা পরে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে অবরোধ তুলে নিতে অবরোধকারিদের অনুরোধ জানানোর পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ছত্রভঙ্গ করার ভুমিকা পালন করে পুলিশ। এসময় পুলিশ ও অবরোধ কারিদের মাঝে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে প্রশানের উর্ধতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারিদের আশ^স্ত করলে প্রতিবাদের পর অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুদ্ধরা।
স্বজন ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সেই আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বাকি আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। হত্যার ঘটনায় অভিভাবকরা শিশুদের পাঠদানে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। এমন ঘটনার বিচার না হলে এমন ঘটনা পুনরায় ঘটনার শংকা রয়েছে। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেন তারা।
অবরোধকারিদের আশস্ত করে সদর সার্কেল মিথুন সরকার জানান, আসামীদের দ্রæত আইনের আওতায় হবে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামী বের করবে পুলিশ।
জেলা সদরের মাদারগঞ্জ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতে মুরাদ হোসেন। গেল তিন মে নিখোজের পরদিন মাদ্রাসার পাশে ভ্ট্টুা ক্ষেতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় লাশ উদ্ধারের দু’দিনপর নিহত শিশুর বাবা দারুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এরপর পুলিশ মাসুদ রানা নামে একজনকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পায় সে।