নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হয়েছে সার্ফিং নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ‘ন ডরাই’ নামের এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান অংশু। এর প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, সুনেরা বিনতে কামাল।
ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন কলকাতার শ্যামল সেনগুপ্ত। এর আগে এই চিত্রনাট্যকার দেবের ‘বুনোহাঁস’ ও অমিতাভ-দীপিকার ‘পিংক’ ছবির চিত্রনাট্য লিখে প্রশংসিত হন। তাই এই ছবিতেও গল্প ও চরিত্রের চমক থাকবে বলে প্রত্যাশা করছেন সবাই।
তবে শুটিং শেষ হওয়া ছবিটি সেন্সরে আটকে গেল সংলাপের দোষে। আজ ২১ নভেম্বর ছবিটি সেন্সর বোর্ড সদস্যরা দেখেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেল। দেখার পর তারা ছবিটি ভালো বললেও একে প্রদর্শনীর ছাড়পত্র দেননি। ছবির কিছু সংলাপ নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজামুল কবীর গণমাধ্যমে বলেন, ‘বেশ সুন্দর একটি গল্প নিয়ে ‘ন ডরাই’ ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ছবির কিছু সংলাপে আমাদের আপত্তি রয়েছে। এসব বিষয়ে সংশোধনী আনতে বলা হবে ছবির কর্তৃপক্ষকে। সংশোধনের পর ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র পাবে। আশা করছি এই ছবিটি দর্শক মুগ্ধ করবে।’
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স ফিল্ম প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’। এখানে এমন কিছু সংলাপ ছবিটিতে ব্যবহার করা হয়েছে যা দেশের অন্যান্য জেলার লোকদের কাছে অশ্লীল, আপত্তিকর মনে হতে পারে। বিষয়টি এমন যে; এক দেশের বুলি, আরেক দেশের গালি। সেজন্যই কিছু সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা।
‘ন ডরাই’ শব্দের মানে হলো ভয় করি না। ছবিতে সমাজ ও পরিবারের ভয়কে জয় করে সার্ফার হিসেবে এক নারীর প্রতিষ্ঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যা নারীদের উৎসাহিত করবে।
পরিচালক জানান, গল্পটি গড়ে উঠেছে সত্য ঘটনা অবলম্বন করে। জানা গেছে, সিনেমার প্রায় নব্বই শতাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে কক্সবাজারে।