নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং বাংলাদেশ সীমান্তে নন-লেথাল অর্থাৎ প্রাণঘাতী নয় অবশ্যই এমন অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য হিন্দু মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের কোন কোন স্থানে প্রাণহানি হয় এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা গুলিবিদ্ধ হয় তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সকল চিহ্নিত স্থানে বিজিবি’র অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সাবমেরিন ঘাঁটি নিয়ে ভারত কেন টেনশনে?
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আরো বলেছেন, ভারতের বিএসএফকে আরও সতর্ক হয়ে সীমান্ত এলাকায় দায়িত্ব পালন করা উচিত। আমাদের দেশের নাগরিক আইন লঙ্ঘন করলে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু তাদের হত্যা করা কখনোই সমর্থনযোগ্য না।
মূলত রোববার (১৯ জুলাই) আসামের করিমগঞ্জ রাজ্যে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী এসব বলেন। করিমগঞ্জ থানা পুলিশের দাবি করেছে, বাংলাদেশি তিন নাগরিক গরু চুরি করতে ভারতে গিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত গরু আছে। অন্য কোথাও থেকে গরু আমদানি করার প্রয়োজন নেই। করিমগঞ্জের ঘটনাটির তদন্ত শেষ হয়নি, সীমান্তরক্ষী ও ভারতীয় নাগরিকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তারা দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার বিষয়গুলো ভঙ্গ করবে না।