নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাকে সাজা খাটতেই হবে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২ বছর ১ মাস ১৬ দিন সাজা খেটেছেন তিনি। সরকার যতদিন তার সাজা স্থগিত করবে এরপর তাকে বাকি সাজা খাটতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়ে আইনি ব্যাখ্যায় মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাতে সময় নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
তিনি বলেন, এই মামলাটি যেহেতু বিচারাধীন নয়, তাই সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিচারাধীন থাকলে এ ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। সরকার এটা প্যারোলের নিয়ম মেনে করেছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাজাটা কিছু সময়ের জন্য স্থগিত থাকছে। মামলায় তার যে সাজা হয়েছে সেটা তাকে খাটতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার চাইলে সাজা কিছু সময়ের জন্য স্থগিত রাখতে পারে। এটা সাজা মওকুফ নয়, সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত রাখা। তাকে এ সাজা খাটতেই হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পাঁচ বছরের দণ্ড দেন আদালত। ওই মামলায় আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়।
দণ্ড ঘোষণার দিন থেকেই কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তবে কাগজপত্রের কাজ শেষ করা গেলে আজ মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) অথবা বুধবার খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান।
এর আগে সোমবার দুপুরে গুলশানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিদেশে গমন না করার শর্তে প্রধানমন্ত্রীর আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এ সময় তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে গিয়েও তিনি চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে তাকে ঢাকার নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে মুক্তি দিলেই এ আদেশ কার্যকর হবে।