নিউজ ডেস্কঃ অপার সম্ভবনা থাকলেও পঞ্চগড়ে শিল্প কলকারখানার বিকাশ ঘটেনি। প্লটের পর প্লট জমি ক্রয় করে ফেলে রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে। মুলত পাথর ব্যবসার উপড়েই নির্ভর করে চলছে এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা। ফলে বেশিরভাগ সময় বেকারত্ব জীবনযাপন করছেন এ অঞ্চলের অধিকাংশ শ্রমিকরা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন সরকারের সমন্বয় ও ব্যাংকিং সহযোগীতায় সুযোগ সৃস্টি হলে উদ্যোগতারা এগিয়ে আসবে।
দেশের মানচিত্রে উত্তরের প্রথম জেলা পঞ্চগড়। স্বাধীনতার এতো বছরেও এ জেলায় এখনো শিল্প কলকারখানার বিকাশ ঘটেনি। জেলার তেঁতুলিয়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি হলেও শুধুমাত্র পাথর আমদানিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। আর সুযোগ সৃস্টির অভাবে ক্রয় করে ফেলে রাখা প্লটের পর প্লট জমি অব্যহৃত হয়ে পরে রয়েছে। এ কারনে এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই নির্ভর করছে পাথর উত্তোলন ও আমদানীতে। নির্ভর করা পাথর ব্যবসাতে সময় অসময় হচট খাওয়ায় বেকার হয়ে পরছে এলাকার অধিকাংশ শ্রমিকরা। পাথর ব্যবসার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবসার প্রসার না ঘটায় অর্থনীতিকভাবে এখনো পিছেয়ে রয়েছে। সমন্বয়ের মাধ্যমে শিল্প কলকারখানা স্থাপন করা হলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর পরিচালক হারুনুর রশিদ বাবু জানান, এখানে উদ্যোগতার অভাব নেই। সুযোগ সৃষ্টির অভাব পুরণ ও সরকারের সমন্বয় প্রয়োজন। আর সে কারনেই উদ্যোগতারা এগিয়ে আসছে না বলে মনে করছে ব্যবসায়ী এই নেতা।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরটি ১৯৯৭ সালে আনুষ্ঠনিকভাবে চালু হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে ভারতের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলে এলাকার মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার যোগায়।