• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অফিসে বসেই ধূমপান পিআইও’র প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ চাষিরাই পারে ঠাকুরগাঁও সুগারমিলকে টিকিয়ে রাখতে-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ খতিবের এমফিল ডিগ্রি অর্জন যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস, কলেজ অধ্যাপকের প্রত্যাহারের দাবি কৃতি শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের সম্মাননা দুদক মামলার আসামি শহিদুলের দপ্তরে দপ্তরে তদবির, সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকি অপপ্রচার ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে আগুন, আটক-১ অবৈধ দখলে উপজেলা পরিষদ আবাসিক ভবনভাড়া বকেয়া দুইলাখ পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের দৃশ্য ভেসে উঠছে প্রকাশ্যে ঘুরছে হত্যাকারি আলামিন হিন্দুদের মন্দির-বাড়ি পাহারায় জামায়াত-শিবির

শোক সংবাদ-চলে গেলেন সকলের প্রিয় ছুটু ভাই

সাংবাদিকের নাম / ২৭ জন দেখেছেন
আপডেট : শনিবার, ২ মে, ২০২০

ঠাকুরগাঁও, ২ রা মে।

ঠাকুরগাঁও শহরের সকলের প্রিয় নুরুল ইসলাম (ছুটু ভাই) ০১ মে শুক্রবার সকালে দিনাজপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না— রাজিউন)। তিনি অসুস্থ ছিলেন। হঠাৎ হর্টের সমস্যা দেখা দিলে তাঁকে দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সেনুয়া গোরস্থানের মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজার পর সেখানেই দাফন করা হয়।
মির্জা নুরুল ইসলাম ছুটু (৭৭) একদিকে যেমন ছিলেন একজন বিনয়ী অন্যদিকে ছিলেন আপোষহীন, নীতিবান পুরুষ। অন্যায়ের কাছে তিনি কোনদিন মাথানত করতে দেখা যায়নি।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঠাকুরগাঁও মহকুমার (বর্তমান ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলাসহ) একজন বলিষ্ঠ নেতা ছিলেন। ১৯৬৮-৬৯ সালের দিকে তিনি ছিলেন ঠাকুরগাঁও মহকুমার সভাপতি। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। অসহযোগ আন্দোলনে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি।
দেশ স্বাধীনের পর যখন জাসদ গঠিত হয় তখন তিনি জাসদে যোগ দেন। তিনি প্রথমে জাসদের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। পরে তিনি জাসদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হন। তিনি জাসদ জাতীয় কমিটিরও সদস্য ছিলেন।
১৯৮৪-৮৫ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেযারম্যান পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
মির্জা ছুটু একজন ভালো খেলোয়াড়ও ছিলেন। স্কুল জীবনে ঠাকুরগাঁও হাইস্কুল ও পরবর্তীতে ঠাকুরগাঁও টাউন ক্লাব ফুটবল দলের অপরিহার্য একজন খেলোয়ার ছিলেন তিনি।
তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য কোনদিন আবেদন করেননি।
ঠাকুরগাঁও জজ কোর্টের দক্ষিনে রাস্তার পাশে যে দোতলা বাড়িটি রয়েছে সেবাড়িতেই তিনি স্ত্রী, পুত্র কন্যাদের নিয়ে বাস করতেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে মির্জা সারোয়ার ইসলাম ও ২ মেয়ে নূরজাহান বেগম ও সুলতানা বেগমকে রেখে গেছেন। মির্জা ছুটুরা ছিলেন ৫ ভাই। মির্জা সাদেকুল ইসলাম, মির্জা সফিকুল ইসলাম, মির্জা শরিফুল ইসলাম, মির্জা রফিকুল ইসলাম ও মির্জা নূরুল ইসলাম। তিন বোন- খোদেজা খাতুন, নূরন নেহার (প্রয়াত) ও খালেদা বানু। মির্জা ছুটুর পিতা প্রয়াত খাদেমুল ইসলাম।
মির্জা ছুটু ভাইয়ের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুরে।

মির্জা আলমগীরের শোক
০১ মে শুক্রবার রাতে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোবাইল ফোনে মির্জা ছুটু ভাইয়ের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন। তিনি জানান, মির্জা ছুটু একজন নির্লোভ ও নীতিবান মানুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ঠাকুরগাঁওবাসী একজন আদর্শবান মানুষকে হারালো। তিনি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দও তাঁর মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন।


এধরনের আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক প্রকাশিত

Editor: Ataur Rahman
News editor : Joherul Islam
email: newsnat24@gmail.com
Phone: 01717253362, 01744367842
N.C Road, Thakurgaon.