মুন্সিগঞ্জ:
পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড স্রোতের কারণে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় শিমুলিয়ায় পারের অপেক্ষায় চার শতাধিক গাড়ি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে ১৫টি ফেরির মধ্যে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নাসির বাংলানিউজকে জানান, পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোতের কারণে দুপুর থেকে বন্ধ আছে ডাম্প ফেরি। বর্তমানে ১৫টি ফেরির মধ্যে চলাচল করছে ছয়টি ফেরি। ফেরিগুলো দীর্ঘদিনের পুরোনো হওয়ায় স্রোতের প্রতিকূলে কুলিয়ে উঠতে পারেনা। সকালে কয়েকটি ফেরি মাঝ পদ্মায় গিয়ে স্রোতের প্রতিকূলে কুলিয়ে উঠতে না পেরে আবার যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ঘাটে ফিরে এসেছেন। দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডাম্ব ফেরি।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আব্দুল আলিম বাংলানিউজকে জানান, ফেরি চলাচলের চ্যানেলে নাব্যতা সংকট নেই। বন্যার পানি নামছে ও নদীতে স্রোতের গতিবেগ অনেক বেশি। সকাল থেকেই স্রোত বেশি নদীতে, দুপুরের দিকে ফেরি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ ঘাটের বেশিরভাগ ফেরিগুলো দুর্বল প্রকৃতির হওয়ায় তীব্র স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে অক্ষম।
তিনি আরও জানান, আগে এক থেকে সোয়া এক ঘণ্টার মধ্যে ফেরি শিমুলিয়া থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে কাঁঠালবাড়ী পৌঁছতো। কিন্তু এখন সময় লাগছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার বেশি। ঘাট এলাকায় বর্তমানে চার শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায়। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা তিন শতাধিকের বেশি।
শিমুলিয়া ঘাটের যাত্রীরা বাংলানিউজকে
জানান, পদ্মায় স্রোত বেশি থাকায় ফেরিগুলো মাঝ পদ্মায় গিয়ে আটকে যায়। দীর্ঘ
সময় ধরে অপেক্ষা করে আবার গন্তব্যে রওনা করে। যার কারণে নির্ধারিত সময়ের
থেকে বেশি সময় লাগছে। কম সংখ্যক ফেরি চলাচল করার কারণে ভোগান্তি পোহাতে
হচ্ছে এ রুটের যাত্রীদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯