নিউজ ডেস্কঃ রাজাকার ও পুত্রকে মুক্তিযোদ্ধা, মেয়েকে বীরঙ্গনা হিসেবে তালিকায় অর্ন্তভুক্তের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তারা।
এসময় পীরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ইব্রাহিম খান লিখিত অভিযোগ পাঠ করে বলেন, গত ১৪ই মার্চ ২০২১ ইং তারিখে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার ৭৩ তম সভায় এলাকার চিহ্নিত ও আলোচিত রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্য ডা. মনির উদ্দিন চৌধুরীকে মরনোত্তর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়া একই সভায় তার মেয়ে সুফিয়া বেগমকে মরনোত্তর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে যাচাই বাছাই ছাড়াই মনির উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র সামস উদ্দিনকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করেন। যা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধের অপমান করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক কমান্ডার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় থাকলেও ২০০০ সাল থেকে বিনা কারনে সরকারি সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়।
অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া রাজাকার ও বীরঙ্গনার নাম বাতিল এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধ কমান্ডারের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা না হলে কঠোর আন্দোলন করার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় জেলা কিংবা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কমিটিকে মুল্যায়ন না করেই এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হচ্ছে। যদি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে রাজাকার ও পরিবারের সন্তানদের নাম বাতিল করা না হয় তাহলে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীসহ কর্মকর্মদের বিরুদ্ধে অবস্থা নেয়া হবে।
এসময় ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের সংসদ জাহিদুর রহমান, সাবেক এমপি এমদাদুল হক পৌর মেয়র ইকরামুল হক, পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কৃষ্ণ মোহন রায়,উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব সহ অনেকে।