নিউজ ডেক্সঃ যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার নামে থাকা সব হিসাবের লেনদেনের তথ্য, বিবরণীসহ সব পাঠাতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট এ নির্দেশনা দিয়েছে।
ওমর ফারুকের উত্থানের যেন রূপকথার মতো। তামাক দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও একসময় করেন তৈরি পোশাকের ব্যবসা। কিন্তু ব্যবসায় সাফল্য পাননি তিনি। হয়েছেন ঋণ খেলাপী। তবে যুবলীগের সভাপতি হয়েই ভাগ্য বদলে যায় তার।
ওমর ফারুক ২০০৩ সালে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন। এর আগের কমিটিতে ছিলেন কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য। ২০০৯ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরপর ২০১২ সালে হন চেয়ারম্যান।
১৯৪৮ সালে জন্ম নেয়া ওমর ফারুক চৌধুরী সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম জেলা বিড়ি শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিড়ি শ্রমিক লীগের নেতা হয়ে মিয়ানমার থেকে তামাকের বিকল্প টেন্ডু পাতা আমদানি শুরু করেন তিনি। এরপর এরশাদ ক্ষমতায় আশার পর ওমর ফারুক চৌধুরী শ্রমিক লীগের রাজনীতি ছেড়ে যোগ দেন জাতীয় পার্টির যুব সংহতিতে। এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সদস্য হন তিনি।
১৯৮৮ সালে রাউজানে পোশাক কারখানা স্থাপন করেন তিনি। তবে এই ব্যবসা করতে গিয়ে সম্পদ নিলামে ওঠার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় ওমর ফারুকের। ১৯৯৭ সালে ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার স্ত্রীর নামে ১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ নেয়া হয়। যা পরে ৪৪ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। ঋণের টাকা আদায় না করতে পেরে অর্থ আদায়ে আদালত যায় ব্যাংক।
ওমর ফারুক চৌধুরী জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা নাজিউর রহামন মঞ্জুর ভায়রা ভাই এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভগ্নিপতি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর দিনই তার বক্তব্য ভাইরাল
হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে যুবলীগের সম্পৃক্ততা ও
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে নিজেই পড়ে যান বেকায়দায়।
এদিকে চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে এবার যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক
চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল
ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।