দেশে পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে, বাজার অস্থির করা হলে দায়ীদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো.
জাফর উদ্দিন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন
তিনি।
পেঁয়াজের দাম ৬০ এ নেমে এলেও ভারত হঠাৎ করে রফতানি না করায় দাম বৃদ্ধির
আশঙ্কা করছে সরকার। বাণিজ্য সচিব বলেন, এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে ৩৫টি ট্রাকে
করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ ব্রিক্রি করবে টিসিবি।
নিউজ ডেক্সঃ পেঁয়াজ আমদানিসহ মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে বলেও জানান বাণিজ্য সচিব।
হঠাৎ সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর ৩৫টি পয়েন্টে ৪৫ টাকা করে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মুখপাত্র হুমায়ূন কবির। যদিও এর আগে ১৬টি ট্রাকে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত ছিল টিসিবির।
পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে এরইমধ্যে মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা দুই জাহাজ পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই এ পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তখন দাম কমবে।
এদিকে গতকাল রোববার পেঁয়াজের উৎপাদন সংকট দেখিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। আর এতে ভারতের অভ্যন্তরে পাইপলাইনে থাকা পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ না করলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা বন্দরের আমদানিকারকদের। অন্যদিকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খোলা বাজারে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি মূল্য বৃদ্ধি করে ভারত। এরপর থেকেই বেশি মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি করে আসছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এদিকে দুর্গাপূজার বন্ধের আগেই বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে ভারতে পর্যাপ্ত এলসি দেন ব্যবসায়ীরা। তবে হঠাৎ করে ভারত সরকার রোববার দুপুর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতের অভ্যন্তরে পাইপলাইনে থাকা পেঁয়াজগুলো দেশে প্রবেশ না করলে কয়েক কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে আমদানিকারকদের।