নিউজ ডেস্ক: কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফিরেছে বলে মিয়ানমার দূতাবাসের দাবি বাংলাদেশ যাচাই করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এ সম্পর্কে কিছুই জানে না। আমরা যাচাই করে পরে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে জানাবো।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া আরও ৪৬ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমার ফিরেছেন বলে দাবি করেছে ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস। বৃহস্পতিবার তারা স্ব-প্রণোদিত হয়ে ফিরে যান বলে দাবি করা হয়েছে।
মিয়ানমার দূতাবাসের দাবি, এর আগে ২২ অক্টোবর ২৯ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ফিরে গেছেন। দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, তুং পিয় লেটউই এবং নাগা খু ইয়া সেন্টারে ৪৬ রোহিঙ্গাকে দেশটির পররাষ্ট্র, সমাজ কল্যাণ, শ্রম, জনসংখ্যা, অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গ্রহণ করেন। এ পর্যন্ত ৩৯৭ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ফিরে গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে নতুন করে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
এসব রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতি দিলেও রাখাইনে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেনি মিয়ানমার। ফলে দুই দফা চেষ্টা করেও একজন রোহিঙ্গাকেও রাখাইনে ফেরত পাঠানো যায়নি। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে ঢাকার মিয়ানমার দূতাবাস নিজেদের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরছে বলে আপডেট দিচ্ছে।