নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ট্রেনের গার্ডসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে হাফিজুর রহমান নামে এক গার্ডের। ময়মনসিংহ-সিলেটগামী একটি মালবাহী ট্রেন ভৈরব রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এরই মধ্যে রেলওয়ে পুলিশের এক অনুসন্ধানে জানা যায়, রেললাইনের পাথর কুড়িয়ে চলন্ত ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারছে একদল শিশু-কিশোর। ট্রেনে পাথর ছোড়া অপরাধ হলেও ওসব শিশু-কিশোর সচেতনতার অভাবে বিষয়টি জানে না।
এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সোমবার (২৫ নভেম্বর) নরসিংদীর রায়পুরার দৌলতকান্দি ও ভৈরবের জগন্নাথপুর এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সভা করেছে রেলওয়ে পুলিশ। একই সঙ্গে এলাকার মানুষকে বোঝানো হয় ট্রেনে পাথর ছোড়া অপরাধ। মসজিদের মাইকে ঘটনাটি প্রচার করতে বলা হয়। অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানদের সতর্ক করে দেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি মো. ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস জানান, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা সম্প্রতি বেশি ঘটছে। মানুষের সচেতনতার অভাবে এসব ঘটনা ঘটছে। রেললাইনের পাশে খেলাধুলার সময় ট্রেনে পাথর ছুড়লে কারও চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের শাসন করা উচিত। পাথরের আঘাতে যাত্রীরা আহত ও নিহত হবেন- শিশুদের বিষয়টি বোঝানো উচিত। কারণ মজা করেই ট্রেনে পাথর ছোড়ে শিশুরা। এতে ট্রেনের পরিচালক আহত হলেও অভিযোগ করেননি। ভবিষ্যতে কোনো শিশু-কিশোর এমন ঘটনা ঘটালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. কামরুজ্জামান জানান, চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়লে আমাদের কিছুই করার থাকে না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রায়ই লিফলেট-পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণা চালায়। এরপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।