নিউজ ডেস্কঃ ভ্রুন হত্যার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুষ্পসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে এক নির্যাতিতা নারীর পরিবার। আদালত মামলার বিষয়টি পর্যালোচনা করে সংশ্লিস্ট থানাকে এজাহার হিসেবে গন্য করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে ১ (অক্টোবর) মামলাটি রুজু করে হরিপুর থানা পুলিশ।
মামলার আসামীরা হলেন, হরিপুর উপজেলার বকুয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুস্প, নন্দগাঁও গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে কামাল, গজধুডাঙ্গী গ্রামের তফিজউদ্দীনের ছেলে ফিরোজ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার হরিপুর উপজেলার নন্দগাঁও মুন্সিপাড়া গ্রামের রব্বানীর স্ত্রী গত ১৮ই জানুয়ারী ২০২১ইং তারিখে শাশুরীকে সাথে নিয়ে দিলারা বেগম বাড়ির পাশে গবাদি পশু লালন পালনের সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের উপর হামলা চালায় আসামীরা। এসময় মামলার ২নং আসামী কামাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে দিলারা আসামীগণের অনাকাঙ্খিত অশোভন আচরণ ও গালিগালাজের প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে ৩ নং আসামী ফিরোজ ওই নারীকে মারধর করে এক পর্যায়ে কামাল ও ফিরোজ তার পরনের কাপড় চিড়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। ঘটনার সময় ভুক্তভুগী নারী আন্তঃস্বত্বা বলে চিৎকার করলেও উত্তেজিত হয়ে মামলার প্রধাণ আসামী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুস্পসহ আসামীরা নারীর পেটে আঘাত করে। পরে তার আত্মচিৎকারে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তিতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরিক্ষা নিরিক্ষা করা হলে রিপোর্টে জানা যায় ওই নারী ছয় মাসের আন্তঃস্বত্বা ছিল। ভ্রুন নস্ট হয়ে পেটে থাকা বাচ্ছাটি মারা গেছে। আসামীরা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহন করেননি বলে আদালতের দারস্ত হয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আব্দুল কাইয়ুম পুষ্পর বিরুদ্ধে হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস ভাঙচুর ও মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের একটি মামলা রয়েছে। অবিলম্বে আসামীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন ভুক্তভুগী পরিবার। তা না হলে এ ধরনের ঘটনায় পুনরায় লিপ্ত হবে বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুষ্পর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন বলেন শত্রুতার জেরে মামলাটিতে তার নাম জড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের নির্দেশে দিলারা নামে এক নারীকে মারপিট, শ্লীলতাহানী ও শিশুর ভুমিষ্ঠ হওয়ার বাধাদান অপরাধে তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি থানায় রুজু করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।