নিউজ ডেস্কঃ বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে বিএনপি। একই দিন ঢাকায় দুপুর ২টার পর প্রতিটি থানায় সমাবেশ ও মিছিল করবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিনিয়র নেতা এবং খালেদা আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে সকালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। রায়ের পর দলের পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সন্ধ্যায় বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য, সিনিয়র নেতা ও আইনজীবীরা।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে দুর্বল করে ফেলেছে। প্রশাসন ও মামলাকে আওয়ামী লীগ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এই রায়ে জাতির সঙ্গে বিএনপিও হতাশ।
জনগণের সক্রিয় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন মির্জা ফখরুল।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মঈন খান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান চৌধুরী টুকুসহ সিনিয়র নেতার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈঠকে বেগম জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনও ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ আবেদনের শুনানি চলে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা করা হয়।