নিউজ ডেস্ক: বিয়েতে পাত্রীকে ১০ গ্রাম স্বর্ণ বা তা কেনার জন্য ৩০ হাজার টাকা দেবে সরকার। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের আসাম রাজ্য সরকার। এ জন্য ‘অরুন্ধতী’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। তবে সবাই এই সুযোগ পাবেন না। এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে।
সরকারি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহে রাশ টানতে ‘অরুন্ধতী’ প্রকল্পে বছরে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে রাজ্য। এই প্রকল্পের আওতায় স্বর্ণ কিনতে কনের হাতে ৩০ হাজার টাকা দেবে আসাম সরকার। শুধু বাল্যবিবাহ বন্ধ করা নয়, সেইসঙ্গে নারীর ক্ষমতায়নও সরকারের লক্ষ্য।
বুধবার আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা গুয়াহাটিতে জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ‘অরুন্ধতী’ প্রকল্প কার্যকর হবে।
তবে, সবাই এই অরুন্ধতী প্রকল্পের আওতায় আসবেন না। যাদের অভিভাবকদের (মা-বাবার মিলিত রোজগার) বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকার উপরে, তারা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। শুধু তাই নয়, প্রথমবার বিয়ের ক্ষেত্রেই কেবল এই উপহার পাওয়া যাবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, বিয়ে বৈধ নথিভুক্ত হলে, তবেই এই টাকা মিলবে। বিয়ের রেজিস্ট্রির সময়ই সরকারের পক্ষ থেকে পাত্রীর হাতে এক টোলা (১০ গ্রাম) স্বর্ণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রেজিস্ট্রির ওপর জোর দেয়ার কারণ হিসেবে জানান, এতে বোঝা যাবে পাত্রীর বয়স ১৮ হয়েছে, পাত্রেরও ২১ বছর। ফলে, বাল্যবিয়েতে রাশ টানা যাবে।
১০ গ্রাম স্বর্ণের বদলে, ওই স্বর্ণ কিনতে হাতে নগদ ৩০ হাজার টাকাও দিতে পারে সরকার। বিবাহযোগ্য বয়সের সঙ্গে আরও একটি শর্তও জোড়া হয়েছে। বর-কনেকে ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস হতে হবে।
তবে, আদিবাসী ও চা-বাগানে কর্মরত শ্রমিক পরিবারের জন্য এ নিয়ম প্রথমদিকে শিথিল করা হবে।