যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন , ঠাকুরগাঁওয়ে দেখার মতো কি আছে। আমরা বলতে পারি ঠাকুরগাাঁয়ে একটা আম গাছ আছে। এতে আকর্ষিত হবার মত কোন বিষয় নাই। তার পর যদি তার শোনার সময় থাকে যে , গাছটি ২বিঘার জমি নিয়ে আছে , ২০০ বছর এর রবয়স , নাম সূর্যাপুরী , খুব সুস্বাদু আম , যেটা ঠাকুরগাঁও ছাড়া আর কোথাও হয়না। গাছটা দেখতে লতার মতো। তখন শে,্রাতার একটু আগ্রহ হতে পারে। সেখানে গেলে কয়েক মিনিটের মধ্যে দেখা শেষ , কয়েকটা ছবি তুলতে যা দেরী। এর পর আর কোন কাজ নাই। দরকার আম গাছটা সরকারি মালিকানায় নেওয়া। দরকার ওখানে এমন কিছু করা যাতে মানুষকে যেন কয়েক ঘন্টা থাকতে হয়। ২/৪ ঘন্টা থাকা মানে খরচ করা। আর মানুষকে খরচ করাতে পারাটাই পর্যটনের মুল বিষয়।
গত ৬ দশক ধরে পর্যটন বিশ্বের একটি মূল অর্থনৈতিক খাত হিসাবে অব্যাহতভাবে প্রসারিত এবং বৈচিত্রকরণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এবং এটি দ্রæতগতিতে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলির ১টিতে পরিনত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন এলাকার সম্প্রদায়কে উপকৃত করেছে। এক হিসাবে ১৯৫০ সালে বিশ্বের পর্যটক সংখ্যা ছিল ২৫ মিলিয়ন আর তা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন। একইভাবে পর্যটন কেন্দ্রগুলি থেকে পর্যটন খাতে আয় ১৯৫০ সালের ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০১৫ সালে দাঁড়িয়েছে ১২৬০ ট্রিলিয়ন ডলারে। এই খাতটি বর্তমানে বিশ্বের জিডিপির আনুমানিক ১০% এবং কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাপী ১০-টি খাতের মধ্যে ১টি হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গাানাইজেশন (টঘডঞঙ)আশা করে যে ২০৩০ সাল নাগাদ পর্যটন খাতে আয় গড়ে বছরে ৩% হারে বৃদ্ধি পাবে। এই বৃদ্ধি পরিবহন বিশেষত বিভিন্ন দেশের বিমান পরিবহনের মূল্য হ্রাসের কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেনিকেও আকর্ষন করতে পেরেছে ফলে পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে ছুটির অধিকারের স্বীকৃতি এবং বহু দেশে শ্রম অধিকারের উন্নত ব্যবস্থা পর্যটন যুগের আগমনকে সহায়ক করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটন এর আয় দ্বারা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি পটভুমি হিসাবেও কাজ করে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট , প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মহামারী ইত্যাদির মতো চ্যালেজ্ঞ সত্বেও এই খাতটি প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০১৯ সালে থিম নির্ধারণ করা হয়েছে “ ভবিষ্যতের উন্নয়নে , কাজের সুযোগ পর্যটনে ” চাকুরি সৃষ্টিতে পর্যটকের ভুমিকা প্রায়শ:ই অবমূল্যায়ন করা হয়। এটি পর্যালোচনা সত্বেও যে পর্যটন বিশ্বব্যাপী ১০% কাজ এর ক্ষেত্র তৈরি করে এবং সুনির্দিষ্ট কাজ তৈরির সম্ভাবনার জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা ৮ এর অন্তভুক্ত। নুতন নুতন নীতিমালা গ্রহণের ফলে ঞড়ঁৎরংস খাতে বিশেষত মহিলা এবং যুব সমাজের জন্য আরো ভাল কর্মসংস্থান সৃজন করার সম্ভাবনা সর্বাধিক। ঞড়ঁৎরংস এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,পর্যটন দক্ষতা এবং পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজন এবং তাদের মধ্যে বর্তমান অসংগতিসমুহের সমাধান করা জরুরী। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাত সহ সকল শ্রেনির মধ্যে আরো দৃঢ় সহযোগিতার সাথে পর্যটন ক্ষেত্রে কাজের ভবিষ্যতের জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। সে কারণেই ২০১৯ সালে ইউএনডবিøউটিও ও সারা বছর জুড়ে দক্ষতা , শিক্ষা এবং চাকরির উপর জোর দেওয়া ফোকাসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্ব পর্যটন দিবস ১৯ ‘ পর্যটন এবং কর্মসংস্থান : সবার জন্য আরোও ভাল ভবিষ্যৎ ’ শীর্ষক থিম নিয়ে উদযাপিত হচ্ছে। ইউএনডাবিøউটিও একেক বছর বিশ্বের একেক শহরে মুল অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। এ বছরে মূল অনুষ্ঠানটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে ১৫৮ টি দেশ , ৬টি সহযোগি সদস্য এবং পাঁচ শতাধিক এফিলিয়েটেড সদস্যের প্রাইভেট সেক্টর , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , ভ্রমন সংস্থা এবং স্থানীয় সংস্থা পর্যটনের জন্য কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক দিনগুলিতে প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে জনসাধারণকে শিক্ষিত ও সচেতন করা , বিশ্বব্যাপী সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলির ইচ্ছাশক্তি এবং বিভিন্ন সংস্থাকে জড়িত করা এবং মানবতার সাফল্যজনক উন্নয়নকে শক্তিশালী করার একটি উপলক্ষ্য নিয়ে সারা দুনিয়ায় দিবসগুলি পালিত হয়। আন্তর্জাতিক দিবসসমুহের এই উদযাপন জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা প্রমান করে এবং জাতিসংঘও তাদেরকে শক্তিশালী পক্ষাবলম্বনের উপায় হিসাবে গ্রহণ করেছে।
প্রতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়। এর উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পর্যটন এবং এর সামাজিক , সাংস্কৃতিক , রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মূল্যবোধের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো । এই ইভেন্টটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এর এজেন্ডায় বর্ণিত বৈশ্বিক চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলায় এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলিতে পৌছাতে পর্যটন শিল্পের যে অবদান রাখতে পারে তা তুলে ধরতে চেষ্টা করেছে।
ওয়ার্ল্ড টুরিজম অর্গানাইজেশন জাতিসংঘের দায়িত্বশীল , টেকসই এবং সার্বজনীনভাবে এক্সেসযোগ্য পর্যটন প্রচারের জন্য নির্ধারিত সংস্থা , সকল আগ্রহী দেশ এবং প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর নিজ নিজ দেশে বা তাদের ছুটি কাটানোর উপযুক্ত স্থানে বিশেষভাবে উদযাপনের জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছে।
(টঘডঞঙ) ইউএনডাবিøউটিও জেনারেল এসেমবিøর ইউএনডবিøউটিও এক্সিডউিটিভ কাউন্সিলের সুপারিশ অনুসারে প্রতি বছরে নির্বাচিত থিমগুলিকে সামনে রেখে যথাযথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপিত হয়।
ইউএনডাবিøউটিও এর সেক্রেটারি জেনারেল প্রতি বছর এ ্উপলক্ষে মূল্যবান বাণী প্রদান করেন এবং উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় সভাপতিত্ব করেন।
ইউএনডাবিøউটিওর তার ৩য় অধিবেশনেই (টোরেমোলিনোস , স্পেন , সেপ্টেম্বর ১৯৭৯) ইউএনডাবিøউটিও জেনারেল অ্যাসেমবিø বিশ্ব পর্যটন দিবস আয়োজনের প্রস্তাব করে এবং ১৯৮০ সালে থেকেই বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিশ্ব ভ্রমনে গুরুত্বপুর্ণ মাইল ফলকটির সাথে মিল রেখে এই তারিখটি বেছে নেওয়া হয়েছিল। বার্ষিক সেই সাধারণ সভায় ১৯৮০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ইউএনডাবিøউটিএ দিবসটি উদযাপনের জন্য একটি বিধিমালা অনুমোদন করে। ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসের সময়টি বিশেষভাবে উপযুক্ত কারণ এটি উত্তর গোলার্ধের উচ্চ তাপ মৌসুমের শেষে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে তাপ মওসুমের শুরুতে আসে।
২২ ডিসেম্বর ২০১৫ এর ৭০ তম অধিবেশনে , জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন ২০১৭ এর রেজিউলিশন অ/জঊঝ/৭০/১৯৩, এর মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য টেকসই পর্যটন বর্ষ হিসাবে মনোনীত করেছে , যেখানে এটি “সমস্ত রাষ্ট্রকে , জাতিসংঘের সকল সংগঠনকে এবং অন্যান্য সকল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার মাধ্যমে সব স্তরের সংগঠনকে আন্তর্জাতিক এই বর্ষের সুযোগ গ্রহণ এবং টেকসই পর্যটনকে সমর্থন এবং টেকসই বিকাশ , বিশেষত দারিদ্র বিমোচনকে ত্বরান্বিত করার উপায় হিসাবে সমর্থন করার জন্য আহবান জানায়।
সেক্রেটারী জেনারেল ইউএনডাবিøউটিও পর্যটনের জন্য অফিসিয়াল বার্তা আমাদের সবার উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করতে পারে। বিশ্বজুড়ে পর্যটন খাত কর্মসংস্থানের শীর্ষস্থানীয় , মিলিয়ন , মিলিয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে উভয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। একই সময়ে এটি সমতা এবং অন্তভুক্তির অনুঘটক হিসাবেও কাজ করতে সক্ষম। অনেক জায়গায় পর্যটন কর্মসংস্থানে নারী , যুবক এবং গ্রামীন সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের নিজেকে এবং তাদের পরিবারকে সম্পৃক্ত করার এবং আরো সম্পুর্ণরুপে বিস্তৃত সমাজে সংহত করার সুযোগ করে দেয়। কর্মসংস্থানের ¯্রষ্টা এবং সাম্যতা এবং টেকসই উন্নয়নের চালক হিসাবে উভয়েরই প্রকৃত সম্ভাবনা কেবলমাত্র উপলব্ধি করা সম্ভব। শালীন কাজের সুযোগ প্রদান এবং পেশাদার দক্ষতা বিকাশে অবদান এটি এর কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে সুসংহত , আমাদের অর্থনীতির সকল সেক্টরের নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি, অগনিত সুযোগ সুবিধা অন্তর্ভূক্ত করতে পারে এবং পর্যটনকে তার বিশ্বব্যাপী সামাজিক দায়বদ্ধতা অবলম্বন করে সকলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এই কারণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সরকার এবং অংশীদাররা পর্যটনকে একটি দায়িত্বশীল এবং টেকসই পদ্ধতিতে পরিচালনা করার জন্য এবং এর বিশাল সম্ভাবনা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে এক সাথে কাজ করছে। নুতন প্রযুক্তি যেমন আমাদের ভ্রমনের পথ পরিবর্তন করে চলেছে , তেমনি এটিও আমাদের কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন করছে। পর্যটন শ্রমিকদের আগামীর কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞান সরবরাহের পথে নের্তৃত্ব দিচ্ছে। প্রযুক্তি খাত এবং একাডেমিয়ায় অংশীদারদের সাথে কার্যকর সহযোগিতার মাধ্যমে এই সৃজনশীল চেতনাকে গ্রহণ করা আরো বেশী এবং আরো ভাল কাজের পরিবেশ তৈরি করবে। আসুন আমরা বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করি , পর্যটন এর রুপান্তরকামী শক্তিটিকে স্বীকৃতি দিই।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এর এজেন্ডা অনুমোদন করে এবং এর সাথে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ সমুহ ১১৭ টি (এঙঅখ) লক্ষ্য এবং ১৬৯ (ঞঅজএঊঞ) লক্ষ্য সমন্বিত একটি কাঠামো নির্ধারণ করে , যার মাধ্যমে রাষ্ট্র , নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি খাত তাদের নির্দেশনা এবং নিজেদের অবস্থান পরিমাপ করতে পারে টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ এর বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যেতে।
উন্নয়নের এজেন্ডাটি এখন পর্যন্ত সর্বাধিক উচ্চাভিলাষী এবং এর লক্ষ্য বা গোল দারিদ্র বিমোচন , পৃথিবী নামক গ্রহকে সুরক্ষিত করতে এবং সমস্ত মানুষ শান্তি ও সমৃদ্ধি উপভোগ করছে তা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি সার্বজনীন আহবান।
বিশ্বের জিডিপির ১০% পর্যন্ত প্রতিনিধিত্ব করে পর্যটনের অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা। এসডিজিগুলির অগ্রগতির জন্য এর সম্পুর্ন সম্ভাবনাকে জোরদার করে তোলে। পর্যটন ক্রস-কাটিং প্রকৃতি এবং বিশ্বব্যাপী এর অধিক্ষেত্র হওয়ার কারণে কারণে সমস্ত ১৭ এসডিজির অর্জনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অবদান রাখতে পারে এই পর্যটন। বিশেষত ৮ , ১২ এবং ১৪ লক্ষ্যগুলিতে পর্যটন এর উল্লেখ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যগুলি অর্জনে প্রযুক্তি , অবকাঠামো এবং মানবসম্পদে পর্যাপ্ত তহবিল এবং বিনিয়োগ সহ একটি সুষ্পষ্ট বাস্তবায়ন কাঠামো প্রয়োজন।
লক্ষ্য ৮ “ টেকসই , অন্তর্ভুক্তিমুলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি , পূর্ণ এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং সকলের জন্য শালীন কাজের প্রচার করে এবং লক্ষ্য ৮.৯ অন্তর্ভূক্ত করে ” ২০৩০ সালের মধ্যে , টেকসই পর্যটন প্রচারের জন্য নীতিমালা প্রনয়ন এবং বাস্তবায়ন করে যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় সংস্কৃতি এবং পণ্যের ব্যপক প্রচারে ভুমিকা রাখতে পারে।
লক্ষ্য ১২ , এর টারগেট “ টেকসই ব্যবহার এবং উৎপাদন নিদর্শনগুলি নিশ্চিত করা” এতে লক্ষ্যমাত্রা ১২, বি রয়েছে “ টেকসই পর্যটনগুলির জন্য টেকসই বিকাশের প্রভাবগুলি” পর্যবেক্ষণ করার জন্য সরজ্ঞামগুলি বিকাশশীল করা এবং প্রয়োগকরা যা কর্মসংস্থান তৈরি করে , স্থানীয় সংস্কৃতি এবং পণ্যের প্রচারে সহায়তা করে।
লক্ষ্য ১৪ এর ফোকাস হলো “ টেকসই উন্নয়নের জন্য মহাসাগর , সমুদ্র এবং সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং তা টেকসই ভাবে করা ” ১৪.৭ এর লক্ষ্য “২০৩০ সালের মধ্যে মৎস্য, জলজ পালন ও পর্যটনের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার থেকে আইএসডিএস এবং এলডিসিগুলির অর্থনৈতিক সুবিধা বাড়ানো হয়েছে”।
ওয়ার্ল্ড টুরিজম অর্গানাইজেশন ( ইউএনডাবিøউটিও) এসডিজিদের অর্জনে বিশেষত যে লক্ষ্যগুলি স্পষ্টভাবে পর্যটনকে উল্লেখ করেছে ( লক্ষ্যগুলি ৮, ১২ এবং ১৪) অর্জনে অবদান রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
ইউএনডাবিøউটিও ও প্রযুিক্তগত সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ উদ্যোগকে বাদ দিয়ে এটি সুইজারল্যান্ডের অর্থনৈতিক বিষয়ক রাজ্য সচিবালয়ের সহায়তায় জুলাইয়ের শেষদিকে ট্যুরিজম ৪ এসডিজি বিষয়ক প্লাটফর্ম ( ট্যুরিজম ৪ এসডিজি এস,আর.গ) চালু করে।
প্লাটফর্মটির লক্ষ্য নীতি নির্ধারক , আন্তর্জাতিক সংস্থা , একাডেমিয়া , দাতা সংস্থাগুলি এবং সমস্ত পর্যটন স্টেকহোল্ডাদেরকে এসডিজি বাস্তবায়নের কৌশলগুলিতে নিযুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ট্যুরিজম ৪ এসডিজি এস.আর.জি এমন একটি কো ক্রিয়েশন স্পেস যা ব্যবহারকারীদের বিস্তৃত সংস্থান সংযোগ করতে , তাদের নিজের উদ্যোগ , অনুসন্ধান এবং প্রকল্পগুলি যুক্ত করতে , আলোচনা এবং সহযোগিতা প্রেরণা এবং পর্যটন , টেকসই উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত সামগ্রীসমুহ ভাগ করে নিতে সহায়তা করে। প্লাটফর্মের তিনটি প্রধান বৈশিষ্টই টেকসই পর্যটন খাতের জন্য মত বিনিময় ও সহযোগিতার জন্য আহবান জানায়।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ট্যুরিজম এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলি ২০৩০ এ পৌছার জন্য রোড ম্যাপের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।
পর্যটন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমুহ ২০৩০ এর রোডম্যাপ এ কীভাবে পর্যটন খাত ১৭ টি এসডিজি বাস্তবায়ন ও অর্জনে ভুমিকা রাখতে পারে তার গাইড হিসাবে কাজ করে। এর লক্ষ্য সরকার , নীতিনির্ধারক , এবং পর্যটন সংস্থাগুলিকে এসডিজির প্রাসঙ্গিক দিকগুলি নীতি ও অর্থায়নের কাঠামোর পাশাপাশি ব্যবসায়িক পরিচালনা ও বিনিয়োগের জন্য অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্বুুদ্ধ করা। তাহলেই ২০১৯ এর পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ ভবিষ্যতের উন্নয়নে , কাজের সুযোগ পর্যটনে’ কার্যকর লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে বলে আশা করা যায়।
বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রাক্কালে পর্যটন সচিব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন আমরা একটা পর্যটন নীতিমালা তৈরি করেছি। শীঘ্রই তা অনুমোদন করা হবে। তাহলে বিষয়টা দাঁড়ায় পৃথিবীর এমন কিছু দেশ আছে যারা কেবল পর্যটনের আয়ে দেশ চালায়। আর আমরা স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরে একটি নীীতমালা প্রনয়ন করছি। যাহোক নীতিমালা ঢাকায় প্রনীত হোক আমরা ঠ^াকুরগাঁও নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারি।
ঠাকুরগাঁও জেলা একেবারে কৃষিঅর্থনীতির দেশ। এ জেলায় ভারী কোন কারখানা নাই। তবে সমৃদ্ধ ইতিহাসের নিদর্শণ আছে। সেগুলোকে পিকনিক স্পট আকারে বানানো যেতে পারে। জেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠনগুলো তাদের বার্ষিক বনভোজন সেসব স্পটে করতে পারে। আবার সার্কুলার সিস্টেমে সারা দিনে স্পটগুলো ঘুরে আসার ব্যবস্থা করতে পারে। তাহলে একটা পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে আমাদের ছেলেমেয়েরা। অর্থনৈতিক একটা প্রবাহ চালু হবে। একসময় ববাইরে থেকেও লোকজন আসবে। বিষয়টা নিয়ে এখনই কাজ করার সময়।