নিউজ ডেস্কঃ যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। করোনার লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান চলাচল নিষেধাজ্ঞায় আবার ভোগান্তিতে পড়তে যাচ্ছেন ইউরোপ প্রবাসীরা। বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে যেন প্রবাসীরা দুর্ভোগে না পড়েন এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন না হন সেজন্য পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইতালি ও ইউরোপ প্রবাসীরা। করোনাভাইরাসের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বাংলাদেশ সরকার গত ৩০ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে- ৩১ মার্চ থেকে ইউরোপ প্রবাসীদের বাংলাদেশে প্রবেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন মানতে হবে। একদিন না যেতেই ৩১ মার্চ নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ৩ এপ্রিল থেকে ইউরোপের মোট ৩৯টি দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
তবে এই তালিকায় ছিল না নতুন ধরনের করোনার উৎসস্থল যুক্তরাজ্য। সরকারের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন সচেতন মহল। প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বর্হিগমনে ছিল না বাধা। এতে নিরাপদে কর্মস্থলে যোগ দিতে সক্ষম হয়েছে অনেক প্রবাসী।
এদিকে ১৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে সরকার কঠোর লকডাউনে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে সবধরনের যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে। এতে বিপাকে পড়েছে প্রবাসীরা। শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশে আসা প্রবাসীরা। যথা সময়ে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে চিন্তিত তারা।
এমন প্রেক্ষাপটে ভ্রমণ সিডিউল পরিবর্তন হওয়ায় অসাধু ট্রাভেল এজেন্সি এবং এয়ার লাইন্সগুলো টিকেটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হাতিয়ে নেয় প্রবাসীদের হাজার হাজার টাকা। এ ব্যপারে সরকারের সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করেছেন সচেতন মহল।
আন্তর্জাতিক এভিয়েশন সূত্র মতে, বর্তমানে বিশ্বের নামিদামি এয়ারলাইন্সগুলোর মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কিংবা এক-চতুর্থাংশ ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। একবার বিমানের সিডিউল ভেঙে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নতুন সিট পাওয়া নিয়ে। সেই হিসেবে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখা উচিত বলে মনে করেন প্রবাসীরা।