অতিরিক্ত কঠোর কোচ চন্ডিকা হাথুরাসিংহের বিদায়ের পর বাংলাদেশের কোচ হয়েছিলেন ঠিক বিপরীত আচরণের স্টিভ রোডস। কিন্তু রোডসে অতিরিক্ত ভালোমানুষিই মনে হয় তাকে সমস্যা ফেলে দিচ্ছে।চুপচাপ স্বভাবের এই কোচ বাংলাদেশে বেশ সফলতা পেলেও বিভিন্ন অভিযোগে তার চাকরি হারানোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ছাড়তে হতে পারে রোডসের। চুপচাপ স্বভাবের মানুষ হওয়ায় ক্রিকেটারদের ওপর খুব একটা কর্তৃত্ব গড়ে তুলতে পারেননি। এমনকি দলের সব খেলোয়াড়ও নাকি তাকে প্রাপ্য সম্মান দেয় না বা মান্য করে না।
এই ইংলিশম্যানের নেতৃত্বগুণ নিয়েও অভিযোগ আছে। টিম মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের গেমপ্ল্যান বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন।যেই কাজটা প্রধান কোচের করার কথা, সেই গেমপ্ল্যান বুঝানোর কাজটা এখন করে থাকেন টাইগারদের কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মাঠের ক্রিকেটারদের কাছে প্রয়োজনীয় বার্তা পাঠানোর ব্যাপারেও দুর্বলতা উঠে এসেছে রোডসে।
অনেকের মতে, খেলোয়াড়ি জীবনে উইকেটরক্ষক থাকা রোডস কাউন্টি ক্রিকেটের কোচ হিসেবে সফল হলেও, জাতীয় দলের কোচ হওয়ার যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে তার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জাতীয় দলের কিছু খেলোয়াড়ও কোচের এইসব সীমাবদ্ধতা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তাইতো কোচের ব্যাপারে ভেবে দেখছে বিসিবি।এই গুঞ্জন গিয়েছে রোডসের কানেও। তাইতো গত রবিবার (২৩ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদেরকে বলেছিলেন, আমাকে আর ছয় মাস রাখলে, আমি বাংলাটা আরও ভালোভাবে শিখে ফেলতাম।
২০১৭ সালের শেষে হাথুরাসিংহের বিদায়ের পর ২০১৮ সালের জুনে দায়িত্ব পান রোডস। মাসে ২৩ হাজার ডলার বেতনে ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সাথে চুক্তি করছিল বিসিবি। এই কোচকে খুঁজতেই পিটার কারস্টেনকে দায়িত্ব দিয়ে ৩০ হাজার ডলার খরচ করা হয়েছিল। তবে টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নাও থাকতে পারেন রোডস। চলতি বিশ্বকাপ শেষেও ইতি টানতে হতে পারে তাকে।