নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বসতভিটার জমি দখল কেন্দ্র করে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইসলাম উদ্দীন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুপক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার ভোররাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসলাম উদ্দীন মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের মাছখুড়িয়া গ্রামের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে দ্রæত ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত ইসলাম উদ্দীন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের মাছখুড়িয়া গ্রামের বুধু মোহাম্মদের ছেলে। এক পক্ষের আহতরা হলেন নিহত ইসলাম উদ্দীনের ভাই দবিরুল ইসলাম (৫৪), দেলোয়ার হোসেন (২৭), স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০), মেয়ে আসমা জাহান বৃষ্টি (১৪) ভাতিজা সাদেকুল ইসলাম (৩২) ও নুর আলম (২৭)। আহতরা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অপর পক্ষের আহতরা হলেন অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক আব্দুল জব্বার (২৭), তার ভাই দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও দুই জনের বাবা আব্দুর রহিম (৫৫), বোন ফাতেমা আক্তার (১৮) এবং আব্দুর রহিমের স্ত্রী তাজমীন আক্তার (৪৮)। আহতরা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকলেও ইসলাম উদ্দীনের মৃত্যুর পর পুলিশ গিয়ে হাসপাতালে তাদের পায়নি। এর আগেই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বসতভিটার জমির পজিশন নিয়ে একই এলাকার ইসলাম উদ্দীনের সাথে আব্দুল জব্বারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও মঙ্গলবার সকালে পজিশন দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুপক্ষের ১২ জন আহত হয়। গুরুতর আহত ইসলাম উদ্দীনকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হলে তিনি বুধবার ভোরবেলা মারা যান।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মীরা মুঠোফোনে জানান, মোবাইলে খবর পাওয়ার ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে কে বাড়িতে আগুন দিয়েছে এ বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুল হক প্রধান জানান, সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন ইসলাম উদ্দীন। ঘটনা তদন্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।