নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা স্বরূপ আশা পদ্মার ইলিশের প্রথম চালান পৌঁছেছে হাওড়ার বৃহত্তম মাছের বাজারে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ভোর থেকেই অকশনের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে প্রথম চালান এর ৩০ টন পদ্মার ইলিশ। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের দর-কষাকষির মধ্য দিয়ে দাম চূড়ান্ত হচ্ছে। তাতে বিভিন্ন আকারের দাম পড়ছে বিভিন্ন রকম।
অধিকতর বড় আকারের দাম বিক্রি করা হচ্ছে পাইকারি বাজারে ১৫০০ থেকে ১৬০০ রুপি প্রতি কেজি দরে। একটু কম ওজনের এবং খানিকটা নরম হয়ে যাওয়া মাছ পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ রুপি দরে। জানা যাচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সোমবার ভারতীয় সময় রাত আটটায় বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থল বন্দরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের আটটি ট্রাক বোঝাই করে ৩০ টন পদ্মার ইলিশের এ চালানটি।
ভারতের পক্ষ থেকে আমদানিকারক নাজ ইন্টেক্স ইন্ডিয়া লিমিটেডের কর্ণধার আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, এখন থেকে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন নিয়ম করে বাংলাদেশ থেকে ট্রাকে করে পদ্মার ইলিশ আসবে হাওড়ার এ বৃহত্তম মাছের আড়তে। এখানে হাওড়া মাছের আড়তের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক কার্টন অকশন অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে খুচরা মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভারতের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের শারদীয় শুভেচ্ছা হিসেবে এই যে উপহার পাঠিয়েছে সেটা আগামীতেও ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে।
এদিকে স্থানীয় খুচরা মাছ বিক্রেতারা হাওড়া মাছ বাজারে পদ্মার ইলিশ কিনতে দীর্ঘ লাইন দিয়েছেন। পদ্মার ইলিশের প্রবেশের কারণে ভারতীয় ইলিশ মাছ বিক্রি কমে গেছে প্রথম দিনই। বাজারগুলোর মাছ বিক্রেতারা পদ্মার ইলিশের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আর তাই তারা স্থানীয় ইলিশের চেয়েও বেশি মূল্য দিয়ে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, খুচরা বাজারে ক্রেতাদের কাছে প্রতি কেজি বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি করতে পারবেন ১৮০০ থেকে ২০০০ রুপী পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার প্রতি কেজি ৬ ডলার হিসেবে মূল্য নির্ধারণ করে এ ইলিশ ভারতে রফতানি করেছে।