নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে, গোলাপি বলের টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং করা লাল বলের চেয়ে কঠিন। এই বলের সুইং ও ম্যুভমেন্ট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ায় এটি বোলারদের দেয় বাড়তি সুবিধা। যার দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দিবারাত্রির টেস্টে। যেখানে দুই দলের বোলাররাই দারুণ করেছেন।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড ওভালে দিবারাত্রির ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মিললো ভিন্ন চিত্র। পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুসচাগনে।
ওয়ার্নার খেলেছেন রেকর্ডগড়া ৩৩৫ রানের ইনিংস, লাবুসচাগনে আউট হয়েছেন ১৬২ রান করে। আর অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ঘোষণা করেছে ১২৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮৯ রানে। অর্থাৎ ওভারপ্রতি প্রায় পাঁচের কাছাকাছি গড়ে রান তুলেছে তারা।
পাকিস্তানের কোনো বোলারই সে অর্থে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতে পারেননি। শুধু গোলাপি বলেই কেন, সিরিজের প্রথম ম্যাচে লাল বলেও পাত্তা পায়নি পাকিস্তানি বোলাররা। তাদের এই দুরাবস্থা দেখে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং।
তার মতে পাকিস্তানের বর্তমান বোলিং আক্রমণের চেয়ে দুর্বল বোলিং আর দেখেননি তিনি। ক্রিকেট ডট কম অস্ট্রেলিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি বোলাররা খুবই বাজে বোলিং করেছে। টেস্ট ম্যাচের জন্য এই বোলিং আক্রমণ একদমই দুর্বল। আমি জানি না, এর চেয়ে বাজে বোলিং আমাদের দেশে আর কখনও দেখেছি কি না।’
পার্থে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেক করানো হয়েছিল পাকিস্তানের ১৬ বছর বয়সী পেসার নাসিম শাহকে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই বাদ দেয়া হয় তাকে। এবার টেস্ট ক্যাপ দেয়া হয়েছে ১৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুসাকে। পাকিস্তানের এ সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন পন্টিং।
তিনি বলেন, ‘আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না, কী কারণে ১৬ বছর বয়সী ছেলেটা (নাসিম) এই ম্যাচ খেলছে না। তারা এখন আরেক তরুণ ছেলেকে (মুসা) নিয়ে এসেছে, যে কি না মাত্র ৭টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছে। ওকে তো দেখতেই টেস্ট বোলার মনে হয় না।’