বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী মিন্নিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে জামিনে বের হয়ে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার আগে দোষ স্বীকার করেছে মিন্নি- পুলিশ সুপারের এমন বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
এছাড়া আসামি গ্রেফতারের পর কিংবা মামলা তদন্তের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে নীতিমালা করতে বলেছেন উচ্চ আদালত।
মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া মিন্নির জামিন আদেশকে ঘিরে দিনভর সরগরম ছিল দেশের উচ্চ আদালত।
মামলার তদন্ত শেষের দিকে এবং নারী এই দুটি দিক বিবেচনায় নিয়ে বৃহস্পতিবার মিন্নিকে জামিন দেয়া হয়েছে। তবে জামিনে বের হয়ে মিন্নি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না।
মিন্নির আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দী যে প্রকারে নেওয়া হয়েছে এবং যেভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাতে তার আজ জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মিন্নির ওপর একটাই নির্দেশ সে যেন মিডিয়ার সামনে কোনো বক্তব্য না দেয়।’
এ আদেশে মিন্নির বাবা সন্তোষ প্রকাশ করলেও নিহত রিফাতের বাবা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
আর মিন্নির জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
মিন্নির জামিন আদেশে বরগুনার পুলিশ সুপারের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে আসামি গ্রেফতার করে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা এবং তদন্ত চলাকালে গণমাধ্যমের সামনে কিভাবে কথা বলতে হবে এ বিষয়ে নীতিমালা করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।