নিউজ ডেক্সঃ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে দশদিন ধরে বিয়ের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের এক নার্সের অনশন। সুরাহা না মেলায় অকেটা বাধ্য হয়েই সংবাদ সম্মেলন করেছে মেয়ের পরিবার। আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে ওই উপজেলার দক্ষিণ হরিণমারী গ্রামের মেয়েটির ভাই শাহ্ আলম লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, আমার বোন একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে নার্সের কাজ করে আসছিল। এ সুবাদে একই উপজেলার বেলহাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে সামিউল্লাহ কাউসার সামু ২০১৮ সালে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় বিনিময়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।
পরে সময় অসমেয় আমার বোনকে নিয়ে বছরের পর বছর নানা জায়গায় ঘুরে ফিরে। এতে গভীর সম্পর্ক স্থাপন হয় তাদের। সামিউল্লাহ একজন শিক্ষনবিশ আইনজীবী। তাই তার পরিবারের অচ্ছলতা দেখিয়ে প্রতিমাসে লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচের কথা বলে প্রতি মাসে আমার বোনের কাছ থেকে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। এভাবে প্রায় তিন বছর অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে। পরবর্তিতে ২০২২ সালে সামিউল্লাহ বার কাউন্সিলের এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তার পরিবারের পরামর্শে বোনের সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
তারপর থেকে আমার বোন মানসিকভাবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে চলতি মাসের দশ জুলাই ঈদের দিন বিকেলে সামিউল্লাহর বাসা বেলহাড়া গ্রামে খোজ নিতে যায়। এসময় তার পরিবার বোনকে লাঞ্চিত করে। তখন থেকে সে বাসায় না ফিরে সেখানেই বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। বর্তমানে সে অতিকস্টে ঘরের বাইরে বারান্দায় খেয়ে না খেয়ে দিনরাত পার করছে। আমরা চেস্টা করেছি তাকে বাসায় ফেরাতে সে কোনভাবেই ফিরবেনা বলে জানিয়েছে। সামিউল্লাহর সাথে বিয়ে না হলে যে কোন সময় মৃত্যু কোলে ঢলে পরতে পাওে বলে আশংকা করা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান চাইছি। সেই সাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।