নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় আগামীতে যাতে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো পোস্টার ব্যবহার না করা হয় সে জন্য নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি সংশোধন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা-১০ উপনির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি জানান, প্রার্থীরা রাস্তা এবং অলিগলিতে পোস্টার লাগাতে পারবেন না। শুধু কমিশন নির্ধারিত ২১টি স্থানে পোস্টার ঝোলানো যাবে।
তিনি আরও জানান, ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে না, শুধু মোটরসাইকেল বন্ধ থাকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে সদ্য নির্বাচিত ফজলে নূর তাপস ঢাকা-১০ আসন থেকে পদত্যাগ করার আসনটি শূন্য হয়। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি এ আসনে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ঢাকা-১০ আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ছয়টি দলের ছয়জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। যে ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. শফিউল ইসলাম, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির (জাপা) হাজী মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং পিডিপির কাজী মো. আব্দুর রহীম।
ঢাকা-১০ আসনে মোট ১১৭টি ভোটকেন্দ্রের ৭৩৪টি ভোটকক্ষে তিন লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৭ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫০৪ জন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২৩ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যাহার ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১ মার্চ।
আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০ আসনসহ গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।