স্টাফ রিপোর্টার ঠাকুরগাঁওঃ সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পুরাতন ইট ব্যবহার করা হয়েছে। আর এমন অনিয়মে সাথে কর্মকর্তারাই জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট।
স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়নের পরিত্যক্ত ল্যাট্টিন ও পড়ে থাকা ইট দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করছেন। আর অনিয়ম ঢাকতে গাথুনির
সাথে সাথে দেওয়াল প্লাস্টার করে দিচ্ছেন মিস্ত্রিরা। ঘটনা জানার পর সরেজমিনে এসে অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় গেল সোমবার (২৯ মে) প্রাচীর ভেঙ্গে পুনরায় নতুন করে ভালো মানের ইট দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করার নির্দেশ দিলেও মানছে না ঠিকাদারের লোকজন। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় প্রাচীর নির্মাণ ও প্লাস্টার কাজ করছেন ঠিকাদারের লোকজন। তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, নির্মাণ কাজে পরিমাণ মত বালু, সিমেন্টও ব্যবহার করছেন না। এভাবে প্রাচীর নির্মাণ হলে যে কোন সময় ধ্বসে পড়ার শংকা রয়েছে। মহাসড়কের পাশে হওয়ার কারণে সীমানা প্রাচীর ধ্বসে পড়লে বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
মৌখিকভাবে বিষয়টি একাধিকবার তদারকি কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানোর পরেও কাজ হয়নি। এ অনিয়মের সাথে ঠিকাদারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এমন অভিযোগ তাদের।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মতিয়র রহমান জানান, একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও ব্যবস্থায় কার্যত প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি। নির্বাহী প্রকৌশলী অথবা উপসহকারী প্রকৌশলী কেউ কর্ণপাত করছে না। ঠিকাদার তার ইচ্ছেমত কাজ করছে।
অন্যদিকে প্রাচীর নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহরিয়া হোসেন এক সপ্তাহ ধরে নির্মাণ কাজ দেখতে আসেননি সময়ের অভাবে এমনটাই জানান তিনি।
সংশ্লিস্ট ঠিকাদার কামাল হোসেন জানান, আপনারা আমাকে ফোন দিচ্ছেন, নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফোন দিচ্ছেন, উপসহকারী প্রকৌশলী শাহরিয়া হোসেনকে ফোন দিচ্ছেন। তারা বলেছেন সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে। আমি আপনাদের সাথে দেখা করবো বলে অনিয়মের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
আর এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম জাকারিয়া জানান, অভিযোগ শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। সেখানে গিয়ে অনিয়মের সত্যতা পেলে নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মিত প্রাচীর ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করতে বলা হয়েছে।
এক মাস ধরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।