নাগরিক ভাবনা। নাজমুল ভাই , একজন ভালো ইতিবাচক সাংবাদিক , এবং সজ্জন ব্যক্তি। এখন আর সাংবাদিকতা করেননা। এ নিয়ে তার যৌক্তিক ক্ষোভও আছে। তিনি সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি ফেসবুকে প্রকাশ করেন। বর্তমান সময়ে অ্যাডভোকেট ইন্দ্রনাথ রায় ও চমৎকার চমৎকার শিক্ষনীয় ও আগ্রহউদ্দীপক পোষ্ট দেন। হাসপাতাল সম্পর্কে শুধু আমি নয় নাজমুল ভাই সহ অনেকে লেখেন। তিনি সম্ভবত নিজে আসেননি। আমার আর এক আত্মীয় মা ও শিশু কেন্দ্রর খুবই করিৎকর্মা কর্মী লাজুফা বাসার গিয়ে বলেছে। আর নাজমুল ভাই লিখছেন। যারা লেখেন ভাষার তিব্রতা যাইই থাকুক আসল বিষয় হলো হাসপাতালটাকে উন্নত করা। কেননা এতে লাভ আমাদেরই। তবে যেভাইে বলিনা কেন আমরা একটু সেনসেটিভ। এই কারণে যে আমি অসুস্থ হলে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে না গিয়ে সরাসরি এয়ারএ্যাম্বুলেন্সে বাইরে কোথায় যাব বা নিদেন পক্ষে ঢাকা যাব সে উপায়ও একেবারে নাই। আমি মনে করি ঠাকুরগাঁও হাসপাতালের সেবা উন্নত করতে পারলে আমরা ভালো থাকবো। এই ভালো থাকতে কিছু কাজ আছে , যে টাকা সরকারকে দিতে হবে। যেখানে সরকারের সিদ্ধান্ত লাগবে , সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে, টাকা বরাদ্দ লাগবে , টাকা ছাড় হতে হবে , ঠিকাদার নিয়োগ হতে হবে , ঠিকাদাররা কাজ দেরী করে শুরু করলে খরচ বাড়াবে। অথবা কাজ শেষ না করে বিল তুলে নিয়ে চলে যাবে। এ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন জনপ্রতিনিধিরা। জয়পুরহাটের ১ টি নির্বাচনী এলাকায় উপজেলা পর্যায়ের ৩ টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন ব্যবস্থা চালূ করা গেছে। অথচ জেলা সদর হাসপাতালে এখনো সম্ভব হয়। হয়তো হবে। তবে সময় লাগবে। আমাদের এখানে কি জনপ্রতিনিধি নেই। তারা যদি ‘উজীরে খামাকা’ হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে বিষয়টা আলাদা। আমাদের সদরের এমপি সাহেব যথেষ্ট সংবেদনশিল , ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে মাসে কমপক্ষে ১ বার আসেন। সমস্যা হচ্ছে তার সাথে কিছু উজীরে খামাখা ঘুরে বেড়ান , তারা হাসপাতালের প্রকৃত তথ্যটা তাঁকে জানতে বা বুঝতে দেন না। সব কুছ ঠিক হ্যায় ধরণের একটা ধারণা নিয়ে বিদায় করেন। অনেকদিন আগে একবার লিখেছিলাম , লেবার ওয়ার্ডের বারান্দায় ১ টা মাসিক মিটিং করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ সে ঝুঁকি নেয়নি। না হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো। ঠাকুরগাঁও হাসপাতালের অনেকগুলো কাজ তিনি করেছেন তার ফল মানুষ পাচ্ছে। আরো কিছু কাজ আছে যে গুলো স্থানীয়ভাবে করা সম্ভব এবং এমপি সাহেবের নলেজে আসলে কাজ গুলো হয়ে যাবে। , যা এমপি সাহেব ইচ্ছা করলেই করতে পারবেন। কিন্ত এটাযে করা দরকার বা করা উচিৎ সে কথাটা তাকে জানাতে হবেতো। তিনিতো আর হাসপাতালে এসে বসে থাকবেননা। কোভিড আক্ত্রান্ড হয়ে অক্সিজেন নেমে যাচ্ছে এই খবর ফেসবুকে দিলে অনেক শুভাকাংখী হাসপাতালে ভীড় করতেন। এটাতে লাভের চেয়ে লোকসানের বিষয় বেশি হতো। এজন্য কোন পোষ্ট দিউনি। তবুও কিছু নিকটজন তো গেছে। তারা যে সহায়তা টা করেছে এটা শুধূ অনুভবের। ভাবতে অবাক লাগে এই দুঃসময়ে ঝুঁকি নিয়ে তারা কিভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনা যে কোন দুর্যোগেই ঘটে থাকে। এই শক্তিগুলোর সমন্বয় করতে পারলে কতো বড়ো মাপের কাজ করা সম্ভব তাই ভাবছি। এই সময় তো আমরা এদের কাজে লাগাতে পারতাম।রাত আড়াইটায় স্বাস কষ্টের সমস্যা দিয়ে হাসপাতাল গেলাম। ২ জন ডিউটি ডাক্তার ছিলেন। তারা যত্ন সহকারে খোজ খবর ,নিয়ে ঔষধ লিখলেন , তা কোথায় পাওয়া যাবে তা জানালেন , ইসিজি করালেন , ভর্তি করালেন। তাদের কাজ শেষ করলেন। জটিলতা টের পেলাম ওয়ার্ডে গিয়ে। ওয়ার্ড মানে আমার আসার অনেক আগে ওয়ার্ড ভর্তি তো বটেই মেঝেতেও জায়গা নাই। বারান্দায় কিছুক্ষণ বসে থাকলাম।