করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্ব তছনছ হওয়ার যোগাড়। আমেরিকার মতো উন্নত বিত্তশালী সভ্য দেশ করোনা নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের কি হবে এখনা বোঝা যাচ্ছেনা। তবে বুঝবো আর কয়েকদিন পর। আমরা ৩য় ধাপে আছি। এটিই সবচেয়ে বাজে সময়। সোসাল কনটাক্টে এখন ছড়াবে। দেশের অনেক শহর লক ডাউন করা হয়েছে। আমরা এখোনো বুঝে উঠতে পারিনি লকডাউন কি ? ভাব অনেকটা এই রকম চলো লক ডাউন দেখে আসি। এখনো দলে দলে লোক সোসাল ডিসট্যান্সিং মানছিনা। অনেকে বলছেন এটা বুঝিনি। এটার না বোঝার কিছু নাই। মানে একজনের কাছ থেকে আর একজনের দুরে থাকা। সেটা কমপক্ষে ১ মিটার। আর মুখে একটা মাস্ক পড়া। হাঁছি কাশির সময় সরাসরি হাঁচিঁ কাশি না দিয়ে টিসু বা কমপক্ষে হাতের কনুই দিয়ে আস্তে করে হাঁচি দিন। আর হাত ধুয়ে ফেলুন। এটা না করার পরিনতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা আমরা চিন্তার মধ্যেই আনতে পারিনি। আমাদের জন্য সমস্যা বেশী করলো যে সমস্ত লোক বিদেশে ছিল তারা দেশে ফিরলো বীরের বেশে। দেশে এসে তারা কোয়ারেন্টাইন মানলোনা। তাদেরকে মানানো গেলনা। এর পরে মোটামুটি এলাকা লকডাউন করে টেষ্ট শুরু হলো যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন সময়। এসময় আমরা আবার পালিয়ে যাওয়া শুরু করলাম। নারায়নগঞ্জে করোনা ধরা পড়লো। লোক পালাতে শুরু করেেলা অভিনব পন্থায়। যে শহর লকডাউন , রাস্তার মধ্যে আরো কোন কোন জেলা লকডাউন । এই অবস্থার মধ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দুরে ঠাকুরগাঁওয়ে গাড়ীগুলি মানুষ ভর্তি করে কিভাবে আসলো। হয় রাস্তায় কেউ দেখেনি অথবা রাস্তায় ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে চলে এসেছে। তাহলে শরষেতে একটু ভুতের সন্ধান পাওয়া গেল। এই ঘটনা যে কেবল নারায়নগঞ্জ ঠাকুরগাঁও ঘটছে তা নয়। আরো জেলাতেও ঘটছে। মানে বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো। আমাদের একটু খোঁজ নেওয়া খুবই জরুরী সেদিনের রাস্তায় কারা দায়িত্বে ছিল কারা অবহেলা করেছে বা কি জাতীয় অবহেলা করেছে। আমরা ঠাকুরগাঁওবাসী ভালোই ছিলাম। নারায়নগঞ্জ থেকে আক্রান্ত লোক এসেই সমস্যাটা সৃষ্টি করলো। এদের মধ্যে ইতোমধ্যে কেউ কেউ পালিয়ে আছে। যিনি পালিয়ে আছেন তিনি নিজে এবং তার পরিবার আত্মীয় স্বজনের সর্বনাশ করছেন। অথচ প্রকাশ্য হলে তিনি সহ সবাই রক্ষা পেতো। তাতে যে সমস্যা আরো বাড়তে পারে বা বাড়বে একথা কাকে কে বোঝাবে। এলাকা এলাকায় তরুনরা নিজেরা যেমন লকডাউন করছে একাজ তাদেরই করা উচিত এদের খুঁজে বের করে প্রশাসনকে জানানো। এতে এলাকার মানুষ হয়তো বাঁচবে। গ্রামে গ্রামে জরুরী ভিত্তিতে মিটিং করে এদের খুজে বের করার ব্যবস্থা করা হোক। প্রথম দিন এক গাড়ী আসলো। আমাদের খবর পেতে একটু দেরী হলো। তারা নাকি বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে। পরের দিন আবার ২০ টি গাড়ী এসেছে। ইউএনও পুলিশের তৎপরতায় গাড়ীগুলি ধরা পড়েছে। গাড়ীগুলির মাত্র ৫০০০ টাকা জরিমানা হয়েছে। আর গাড়ীগুলিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গাড়ীর ভাড়া হয়েছে ২০ হাজার। ৫ হাজার জরিমানা দিয়েছে। তারপরেওতো ১৫ হাজার রয়ে গেল। এই গাড়ী গুলি জব্দ করা লাগতো। লাইসেন্স বাতিল করা লাগতো। মালিককে জেলে ঢোকাতে হতো। আর জরিমানা কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করতে হতো। ২০ হাজার টাকার ভাড়া এনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে গাড়ী ফেরত নিয়ে যাওয়া যাবে। পরে আরো গাড়ী আসবে। এর মধ্যে খোঁচাবাড়ীতে ট্রাক ও মাইক্রোতে এক্সিডেন্টও হয়েছে। যে সময় গোটা রাস্তা ফাঁকা সে সময় আবার সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটে। যেদিন থেকে দেশে করোনার সতর্কতা শুরু হয়েছে। গাড়ী বন্ধ রয়েছে তারপরও সেদিন থেকে সড়ক দুর্ঘটনাতেও মৃত্যুর পরিমান করোনার চেয়েও বেশী।