“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি”
তারিখ: ১ঌ/০৪/২০২০ খ্রি:
বরাবর,
জননেত্রী শেখ হাসিনা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়ঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর করোনা তহবিলে বকেয়া ১৪ (চৌদ্দ) মাসের বেতন প্রদান প্রসঙ্গে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
যথাযথ সম্মানপ্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরেছে করোনা ভাইরাস। দেশের এই দুর্যোগ মুহুর্তে আমি আপনার ত্রান তহবিলে আমার বকেয়া ১৪ মাসের বেতন ভাতা দিতে আগ্রহী। তবে তার আগে আমার চাকুরীর বর্তমান অবস্থা নিম্নে বর্ণনা করছি।
বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ (NTRCA) ১৯/১২/২০১৮ ইং তারিখের বিজ্ঞপ্তিতে আমি এম.পি.ও ভুক্ত পদে আবেদন করি ও গত ২৪/০১/২০১৯ ইং তারিখে সহকারী শিক্ষক হিসেবে জাতীয় মেধা তালিকায় নির্বাচিত হই। তার প্রেক্ষিতে আমাকে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ করা হইলে আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানে হিন্দু ধর্ম পদে ২৩/০২/২০১৯ ইং তারিখে যোগদান করি এবং যোগদানের সময় জানতে পারি উক্ত প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হলেও আমার পদটি নন এম.পি.ও (প্রভাতী শাখা)। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভুলের কারণে আমি শূন্যপদের এমপিও ভুক্ত শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েও এখনও এমপিও ভুক্ত হতে পারি নাই। উক্ত ভুলটি সংশোধনের জন্য আমি বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ (NTRCA) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত আকারে একাধিকবার জানালেও এখন পর্যন্ত সমাধান পাইনি। ফলে গত ১৪ মাস ধরে বিনা বেতনে আর্থিক কষ্টে শিক্ষকতা অব্যহত রেখেছি।
বিধায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার সমস্যার ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আপনার নিকট জোর অনুরোধ করছি এবং আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সাধারন ছুটির পরে আমাকে এমপিও ভুক্ত করা হলে আমার বকেয়া ১৪ মাসের বেতন ভাতা সম্পূর্ণ জাতীর এই দুর্দিনে আপনার ত্রান তহবিলে দান করবো।
আপনার দীর্ঘায়ু এবং সুস্থ জীবন কামনায়।
নাম: লিপা রানী সরকার
পদবী: সহকারী শিক্ষক (হিন্দু ধর্ম)
প্রতিষ্ঠানের নাম: পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও।