• শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৯ অপরাহ্ন

পেঁয়াজ আমদানিকারকদের হিসাবে গড়মিল পেলেই ব্যবস্থা

সাংবাদিকের নাম / ১৮৭ জন দেখেছেন
আপডেট : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

নিউজ ডেস্ক: লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে এবার আমদানিকারকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) প্রথম দিনের শুনানিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে হাজির হয়েছেন ১৪ জন আমদানিকারক। এরা সবাই রাজশাহী অঞ্চলের, যারা মূলত ভারত থেকে পেঁয়াজ আনেন।

তাদের দাবি, দেড়মাস আগে আমদানি মূল্যের সঙ্গে সামান্য মুনাফা রেখেই তারা পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি করেছেন।

ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পর থেকে প্রায় ২ মাস ধরে দেশের পেঁয়াজের বাজার টালমাটাল। পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় মিটিং করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। যার ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশ থেকে সমুদ্র, স্থল ও আকাশপথে আমদানি করা হয় পেঁয়াজ।

কিন্তু এসব উদ্যোগের পরও বাজার তেমন কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। দাম নাগালে না আসায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করতে উদ্যোগ নেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে ১ হাজার টনের বেশি পেয়াঁজ আমদানিকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করা হয়েছে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে। দুইদিনের শুনানির প্রথম দিনে হাজির হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

হাজির হওয়ারা বলেন, আমাদের কাছে পেঁয়াজের হিসাব চাওয়া হয়েছে। তা দিয়েছি। আমরা শুধু ভারত থেকেই আমদানি করি। অন্য দেশেরগুলোর বিষয়ে জানি না।

রোববার দেয়া চিঠিতে এসব আমদানিকারকের বিরুদ্ধে পেঁয়াজ মজুদ ও অর্থপাচারের অভিয়োগ রয়েছে উল্লেখে করে কী দামে, কার কাছে কত মূল্যে বিক্রি করেছেন এবং কত মজুদ আছে সেসব তথ্যের নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে এক আমদানিকারকরা বলেন, আগস্ট মাসে সাড়ে ২১ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ২২ টাকায় বিক্রি করেছি। সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখের পর ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করেছি। আমাদের পেঁয়াজ ভারত নির্ভর। ১০ ট্রাক পেঁয়াজ এলে সেদিনই সব বিক্রি হয়ে যায়।

আগামীকাল আরও ৩৪ জনের শুনানি হবে। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যে কোনো গরমিল পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এধরনের আরও সংবাদ