নিউজ ডেস্কঃ আম্পানের প্রভাবে ইতোমধ্যেই দুই চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে শুরু করেছে। হাওড়া এলাকায় ঝড়ে উড়ে যাওয়া টিনের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরীর। এছাড়া মিনাখাঁ এলাকায় মাথায় গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরেক নারীর। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।
এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পান। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটা নাগাদ আম্পামের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যায় দিঘা উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কার্যত লন্ডভন্ড দশা এখন দিঘার। ঝড়ের দাপটে দিঘা রেলস্টেশনের করোগেটেড শিট (চাল) উড়ে গেছে।
ঝড়ের তাণ্ডবে ফুঁসছে সমুদ্র। ভয়াল রূপ ধারণ করেছে দিঘার সমুদ্র। সৈকতের গার্ডওয়াল টপকে ঢেউ উঠে আসছে রাস্তায়। ঝড়ের সঙ্গেই চলছে তুমুল বৃষ্টি। অন্যদিকে কাকদ্বীপেও চলছে প্রবল ঝড়। ঘণ্টায় ১৬৭ কিমি বেগে ঝড় হচ্ছে কাকদ্বীপে। দিঘা, রামনগর, মন্দারমনি, কাঁথি, হলদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় গাছ পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছে। মন্দারমনিতে কয়েকটি হোটেলে পানি ঢুকে গেছে।
এদিকে কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০৫ কিলোমিটার। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে ট্রাফিক সিগন্যাল। ইতোমধ্যেই কলকাতার অন্তত ১৮টি জায়গায় গাছ পড়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় নবান্ন থেকে বিপজ্জনক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কলকাতায় সব ফ্লাইওভার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে আম্পানের প্রভাবে রাজ্যের সাত জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।