নিউজ ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্মাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে পরীক্ষা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্ত আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি ঠেকাতে তৎপর থাকার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনায় সকল বিষয়কে তিনটি ইউনিটে ভাগ করা হয়েছে।
এমসিকিউ ছাড়াও এবার এক কথায় উত্তর দিতে হবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি অনুষদের ৫৮টি বিষয়ে ৪ হাজার ৭’শ আসনের বিপরীতে মোট ৭৮ হাজার ৯০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মেধা তালিকার ভিত্তিতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন দপ্তরের প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের পরিক্ষায় কিছুটা ভিন্নতা এসেছে। এবার এমসিকিউয়ের সাথে এসএকিউ পরিক্ষাও যুক্ত করা হয়েছে।
পরীক্ষা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনায় ক্ষুব্ধ অনেক অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। সংশয় আছে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়েও।
শিক্ষার্থী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে মেধাবীদের ঠাঁই হবে না। পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনায় সিলেবাস বড় হয়ে গেছে। এটা একটা বড় সমস্যা আমাদের জন্য।
ভর্তি পরীক্ষায় কেউ যাতে জালিয়াতি করতে না পারে সে জন্য আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের সজাগ থাকার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা সবাই সজাগ দৃষ্টি রেখেছি। যাতে জালিয়াতি করার কোনো সুযোগ কেউ না পায়।
২১ অক্টোবর ‘এ’ ও ‘বি’ এবং ২২ অক্টোবর সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র ছাড়া সব ধরনের ইলেক্সট্রিক ডিভাইস নেয়া ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।