নিউজ ডেক্সঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় যাত্রীবাহি বাসের চাঁপায়
নিহত-৭ নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার মাগুরমারি চৌরাস্তা এলাকার মহাসড়কে যাত্রীবাহিবাস ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার যাত্রী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পঞ্চগড় থেকে কাজী পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস তেঁতুলিয়া যাচ্ছিল। এসময় ওই উপজেলার মাগুরমারি এলাকায় পৌছালে যাত্রীবোঝাই ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাটি ঘুরাতে গেলে দ্রুতগতির বাসটির নিচে চাপা পরলে
মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায় অটোরিক্সাটি। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় পাঁচ যাত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় আরো দুইজনকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হলে পথে আরও একজন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরেকজন। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ জনতা বাসাটিতে ভাংচুর চালায়। পরে প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা শেষে সাংবাদিকদের পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নিরঞ্জন সরকার সাতজন নিহতের কথা নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো বলেন , দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা আমাদের উপর চড়াও হন। তাদের জন্য আমরা ঠিকমত উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়।
অন্যদিকে বিক্ষুদ্ধ জনতা আধুনিক সদর হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করেন বলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মনছুর আলম জানান।
নিহতরা হলেন, জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালাবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকার লাবু ইসলাম (২৭), তাঁর নব বিবাহিতা স্ত্রী মুক্তি বেগম (১৯), জেলার সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের সুরিভিটা এলাকার আকবর আলী (৭০), তাঁর স্ত্রী নুরিমা বেগম (৫৭), সাতমেরা ইউনিয়নের চেকরমারী এলাকার বাসিন্দা ও ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম (৪০), একই ইউনিয়নের রায়পাড়া এলাকার মাগুদ (৪৩), সাহেবজোত এলাকার আকবর আলীর স্ত্রী নার্গিস (৪২)।
এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী জানান, আমরা চেস্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিহতরের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের। এছাড়া দূর্ঘটনা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।