নিউজ ডেস্কঃ সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে কিংবা গোপন বৈঠকের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও ঘরোয়া রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন তারা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসায় এমন একটি গোপন বৈঠকের খবরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এ বৈঠকে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের কূটনীতিক অংশ নেন। তবে বৈঠক শেষে কথা বলেন নি তাদের কেউ। বৈঠকের খবর পেয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হলেও কোনো ব্রিফিং করা হয়নি। এমনকি কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়নি বৈঠক শেষে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হাইকমিশনের সিনিয়র প্রেস অফিসার ও বাংলা বিভাগের মুখপাত্র মেহের নিগার জেরিন সময় সংবাদকে জানান, কোনো গোপন বৈঠক হয়নি। প্রতিমাসেই বিভিন্ন দেশের হেড অব মিশনরা একবার করে বৈঠক করে থাকেন। এক একবার একেক জন হেড অব মিশনের কার্যালয়ে এ ধরনের বৈঠক হয়ে থাকে। এধরনের স্বাভাবিক একটি বৈঠকই হয়েছে আজ।
কিন্তু বৈঠকটি এমন এক সময় হলো, যখন দুই দিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এ বৈঠকের ঠিক একদিন আগেই বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দলটির নেতাদের সাথে বৈঠক করেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। যে বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের কাছে সিটি নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নির্বাচন বিষয়ে কূটনীতিকদের কাছে অভিযোগ দেয়াও এক ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন।
এছাড়া সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। সে বৈঠকে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মিলার।
কূটনীতিকদের এমন দৌড়ঝাঁপ প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির সময় সংবাদকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে কোনো দেশের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো যেতে পারে। তবে মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এমন হয় যে, তাদের কার্যক্রম বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল হয়ে দাঁড়ায়। এ বিষয়ে কূটনীতিকরা যে কোনো কিছু জানতে চাইলে, তাদের উচিত সরাসরি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
বর্তমান সময়ে নির্বাচনগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছুই কূটনীতিকরা জেনে যান বলে, কোনো কিছু গোপন থাকে না বলেও উল্লেখ করেন মোহাম্মদ জমির।
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করে মোহাম্মদ জমির আরও বলেন, এ বিষয়টিকে সরকার স্বাগত জানিয়েছে। তার মানে কূটনীতিকদের সহযোগিতা করছে সরকার। এখন কূটনীতিকদেরও উচিত সহযোগিতা করা।
সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি ৬৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষকও থাকবেন।