ফারজানা প্রিয়দর্শিনী আফরিন : হিন্দু গরু খায় না, মুসলমান শুয়োর খায় না। নারী হলে অবশ্য হিন্দু-মুসলমান মিলে-মিশেই খায়। ভারতের তেলেংগানা রাজ্যে প্রাণী চিকিৎসক নারীকে গণধর্ষন করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে ট্রাক চালক ও তার দুই সহকারী, সঙ্গে ছিলো আরেক ক্লিনার। হিন্দু-মুসলমান সব মিলে একাকার!
হ্যাঁ, জানি ভাই, ধর্ষক ধর্ষকই। ধর্মীয় পরিচয়, দলীয় পরিচয় কোনোটাই মূখ্য নয়। কিন্তু যখন মাদ্রাসা শিক্ষক ধর্ষণ করে আপনারাই তো বলেন ‘এরা সহী মুসলিম না’, যখন ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ধর্ষণ করে তখন বলেন ‘তাদের পরিবারের সদস্যসহ সকলের নাম পরিচয় উন্মুক্ত করে দেয়া হোক’। আর এসব কারণেই ধর্ষকেরা আর ধর্ষক থাকে না, হয়ে যায় কোনো না কোনো কমিউনিটির অন্তর্ভুক্ত। আর যদি বলেন নারী কি ‘খাওয়ার’ জিনিস? হ্যাঁ, ধর্ষকের কাছে নারী একটি শরীর সর্বস্ব প্রাণীই। তাই নিরামিষভোজী-আমিষভোজী সকলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে একযোগে। সুত্রঃ পারভীন মানবাধিকার কর্মীর ফেইসবুক ওয়াল থেকে