মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

News Headline :
ভারতে চিকিৎসা সেবায় সুযোগ সুবিধা প্রদানে যৌথ সভা  অবৈধভাবে চাল মজুদ রাখার অভিযােগে আবারো মিল মালিককে জরিমানা উন্নত মানের কম্বল পেয়ে খুশি দরিদ্র মানুষেরা এক হাজার দরিদ্র মানুষকে শীতবস্ত্র প্রদান করলেন বিজিএমিইএ’র সভাপতি প্রশাসনে বদলীর নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ের চার ওসি, দুই ইউএনও জনপ্রিয় নেতা আলী আসলাম জুয়েলকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেতে মড়িয়া ভোটাররা তারেক পাকিস্তান থেকে লোক পাঠিয়ে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শান্তি সমাবেশে -যুবলীগ নেতা জুয়েল ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্পেইন টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ সাংবাদিক আইনুলের লজ্জা থাকলে আ’লীগে যোগ দিন বিএনপির উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা-আলী আসলাম জুয়েল

নাগরিক ভাবনা প্রসঙ্গঃ শতভাগ পেনশন সমর্পন এবং বাস্তব প্রেক্ষিত-আবু মহী উদ্দীন

সরকার জনস্বার্থেই সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে সরকারের মধ্যে বিপরীত মতাদর্শের লোকজন থাকলে কৌশলে বিষয়গুলি সব সময় জনস্বার্থের অনুকুলে হয়না। আবার সরকারি সদিচ্ছার সিদ্ধান্তের প্রতিফলন কখনো কখনো জনস্বার্থের অনুকুলে হয়না। যেমন সরকারি কর্মচারিদের পেনশন প্রথা। সারা জীবন সরকারের  মানে জনগণের সেবা দেওয়ার পর জীবন সায়াহ্নে যাতে অবহেলা বা কষ্টে পড়তে না হয় সে জন্য পেনশন প্রথা চালু করা হয়েছিল। যারাই প্রচলন করুক কাজটা একটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই করা হয়েছিল। তাই পেনশনের বদৌলতে জীবন সায়াহ্নে সরকারি কর্মচারিরা কোন রকমে  সন্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার জন্য এটা একটা অবলম্বন। একজন সরকারি কর্মচারী যে পরিমান পেনশন পায় তাতে ১ টি স্কেল পার হলেই জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। নুতন স্কেলপ্রাপ্তরা অনেক এগিয়ে যায়। ফলে পেনশনের এই অর্থে জীবনযাত্র খুব কষ্টকর হয়। পরিবারের কর্তা হিসাবে নিয়মিত আয় বন্ধ হলে তিনি বড্ড অসহায় এবং অবহেলার পাত্র হয়ে যান।

পেনশন প্রাপ্তদের অনেক কষ্টের মধ্যে উল্লেখ করার মতো ক) যেমন সংসারে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, ব্যবস্যার জন্য পুঁজি প্রদান , সন্তানের বিবাহ , চাকুরীর জন্য লগ্নি , ঘরবাড়ী মেরামত  ইত্যাদি খাতে অর্থ শেষ হয়ে যায়। অর্থ না থাকলে তার কোন মর্যাদা থাকেনা।

খ) অবসর জীবনে করার কিছু থাকেনা। ডায়াবেটিস , হৃদরোগ , কিডনির রোগ , চোখের সমস্যা যাবতীয় রোগ বাসা বাঁধে। চিকিৎসা খরচ যোগাতে পুস্টিকর খাবারের জন্য কোন অর্থ থাকেনা। অবসরপ্রাপ্ত শুনলেই জবুথবু একটা লোকের ছবি ভেসে ওঠে। সাধারণভাবে যার কর্মক্ষমতা নাই। যাকে কোন কাজে লাগানোর দরকার নাই। যিনি সাধারণভাবে ব্যাকডেটেড(?)

গ) প্রতারণার খপ্পরে পড়া একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। দেশে প্রতারকদের তো কোন অভাব নাই। যখন একজন সরকারি কর্মচারী অবসরে যাবেন যাবেন অবস্থা তখন এই সব সাধু শয়তান আপন জন ও ত্রাতা হিসাবে আবির্ভূত হয়। তারা অত্যধিক লোভনীয় এবং আকর্ষনীয় বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়। বিনিময়ে বিনা শ্রমে দারুন লাভের স্বপ্ন দেখায়। বিনাশ্রমে লাভজনক বায়বীয় প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করে তারা একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়।

ঘ) শতভাগ সমর্পন: সরকার ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই শতভাগ পেনশন সমর্পন পদ্ধতি চালু করেছিল। টাকা হিসাব করলে প্রাথমিকভাবে লাভজনক মনে করলেও আসলে তা লাভজনক হয়না। মোট প্রাপ্তির ৪ ভাগের ১ ভাগ রেখে সরকার টাকা দেয়। টাকা পাবার পর সব টাকা তো থাকেনা। মেয়ের বিয়ে, ছেলের চাকুরীর লগ্নি, বাড়ীঘর মেরামত , বা জরুরী চিকিৎসা খাতে টাকা খরচ হয়ে যায়। অথবা বায়বীয় লাভজনক (?) খাতে বিনিয়োগ এবং সর্বস্বান্ত হওয়া। সরকার ১৫০০ টাকা আবার কয়েক বছর অর্থাৎ ৬৫ বছরে ২৫০০ টাকা হালে মাসিক চিকিৎসা খরচ দেয়।

একজন বয়স্ক মানুষ যিনি ৬৫ বছর বয়সী , তাদের মধ্যে শতকরা ৯৬ ভাগ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। মানে মাসে সুগার টেষ্ট, ইনসুলিন , মুখে খাওয়ার ঔষধ মিলে কমপক্ষে ৩০০০ টাকার ঔষধ খেতে হয়। অন্য চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখালে ৫০০ টাকা ভিজিট , কয়েকটি টেষ্ট করতে খরচ। কেবলমাত্র ডায়াবেটিক খাতে প্রায় ৬০০০ টাকা খরচ। হার্টের চিকিৎসা থাকলে তো কথা নাই। চোখের চশমাটার পাওয়ার বদল করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। হাসপাতালে যাতায়ত করতে হবে। আমাদের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় বয়স্ক জনদের  জন্য কোন ব্যবস্থা বা সুবিধা করা যায়নি। অর্থাৎ বয়স্করা আলাদা কোন সুবিধা পাননা।

করোনাভাইরাসে প্রবীণদের  মৃত্যুঝুকি সবচেয়ে বেশি। মোটামুটিভাবে আক্রান্ত হলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা মৃত্যুবরণ করছেন। সাধারণত তাদের দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকে। একদিকে বয়স, অপরদিকে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার ও যথাযথ চিকিৎসার সুযোগ নিশ্চিত করতে না পারায় তাদের শরীরে রোগ এসে বাসা বাঁধে। বৃদ্ধ বয়সে তাদের স্বাভাবিক খাবারের চাহিদাও কমে যায়। এ ঘাটতি পূরণে তাদের বেশি বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক নিয়মিত ওষুধ সেবনের বিষয়টি প্রতি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করার কথা।

বর্তমান সরকার বয়স্ক ভাতা দিয়ে প্রবীণদের অনেকটা সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বয়স্কভাতা প্রাপ্তির বিবেচনায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিরা পড়েনা। কেননা তারা তো সরকার থেকে পেনশন পায়।

অথচ সরকারি কর্মচারী, যারা বর্তমান বেতন স্কেলের আগে অবসরগ্রহণ করেছেন, তাদের পেনশন ভাতা নতুন পেনশনভোগীদের চেয়ে অতি নগণ্য। বর্তমান পেনশনভোগী ৩য়, ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা এককালীন ৫০ শতাংশ হস্তান্তর  করেও কমপক্ষে ২০-৩০ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। কারণ বর্তমান সরকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করেছে। সিনিয়র পেনশনভোগীদের কর্মকালীন বেতন স্কেল ছিল দুঃখকষ্টের মাঝে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরানো’র মতো। না হতো সঞ্চয়। অসচ্ছল অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন অতিবাহিত করতে হতো। চাকুরির সময়ে সিনিয়ররা জুনিয়রদের চেয়ে বেতন বেশি পেয়ে থাকেন। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে চলে আসছে। অথচ পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে উল্টো নিয়ম। সরকারি কর্মচারীরা পেনশনে গেলে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে মৃত্যু পর্যন্ত চিকিৎসা ভাতা ২ হাজার ৫০০ টাকা পেয়ে থাকেন। যারা ১০০ শতাংশ পেনশন নিয়ে গেছেন, তাদের অনেকে আজ সব হারিয়ে পথে বসেছেন। তাদের একমাত্র ভরসা, প্রতি মাসে চিকিৎসা ভাতা ২ হাজার ৫০০ টাকা। সরকারতো খুব সহজেই একটি ডাটাবেজ তৈরি করতে পারে। শতভাগ সমর্পনকারীরা কতজন বেচে আছেন , কি অবস্থায় আছেন। ইএফটি করার ফলে বিষয়টি অনেক সহজ  হয়েই আছে।

সুদ সমস্যা ঃ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা অবসরের সময় যা টাকা পয়সা পায় , তা দিয়ে কোন ঝুকিপৃুর্ণ বিনিয়োগ , উৎপাদনশীল বিনিয়োগ সম্ভব হয়না। তাদের জন্য একমাত্র আকর্ষনীয় প্রোগ্রাম হলো সেভিংস সার্টিফিকেট ক্রয়। এখান থেকে ১,৩ মাস পর পর যে সুদ পাওয়া যায় সেটাই সবচেয়ে নিরাপদ। কিন্তু এখানে সমস্যা হলো সরকার এই লভ্যাংশকে সুদ হিসাবে ঘোষণা করেছে। সুদ ইসলাম ধর্মে হারাম। মওলানা সাহেবরাও তারস্বরে ওয়াজ মাহফিল করে এই ইনকামকে হারাম বলছেন। কিন্তু মজার ব্যপার হলো এর বিকল্প কি কি হতে পারে তা তারা বলেননা। অবসরপ্রাপাপ্তদের কাছে এই নিরাপদ সঞ্চয় একমাত্রও পথ। আবার শেষ জীবনে হারাম কাজের সাথে জড়িত হওয়ার ইচ্ছা কারো নাই। যেহেতু দেশে কোন ব্যবস্থা চালু নাই সে কারণে হারাম এই বিষয়টার সাথে জড়িত হতে হচ্ছে। অথচ যদি এমন কোন নিনিয়োগ ব্যবস্থা থাকতো যেখানে কেবলমাত্র অবসরপ্রাপ্তদের অর্থ বিনিয়োগ হবে এবং তারা নিশ্চিত লভ্যাংশ পাবে। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে যেমন আছে। সুদের বদলে লভ্যাংশ ঘোষণা দিলেও তা খুবই সহজ হয়। এতে একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ হবে। এক , অবসরপ্রাপ্তদের হালাল বিনিয়োগের ব্যবস্থা হবে। কিছু কিছু ব্যাংক ইসলামী ঘোষণা দিয়ে প্রতারণা করতে পারত না।

১বা ৩ মাস পর সরকার যে টাকা দেয় সেখান থেকে সরকারের আয়কর , ভ্যাট সবকিছ কেটে নিয়ে টাকা দেয়। আবার এই টার উপরে আড়াইভাগ জাকাত দিতে হবে। ধরা যাক কেউ যদি পারিবারিক সঞ্চয় স্কীমে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ কওে, তাহলে ভ্যাট আইটি বাদ দিয়ে সুদ পাওয়া যাবে ৫২৯২০ টাকা। প্রিন্সিপাল এমাউন্ট থেকে জাতাত দিতে হবে ১২৫০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতিবছর টাকা কমতে থাকবে। সম্ভবত এসব বিবেচনায় সরকার তাদের ১৫ বছর পর পেনশন পুনঃস্থাপনের এক মহতী এবং যুগান্তকারী  উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাতে কিছুসংখ্যক কর্মচারীর সুবিধা হয়েছে। কারণ ৬০ বছরের পর আরও ১৫ বছর খুব নগণ্যসংখ্যক মানুষ বেঁচে থাকেন। ফলে সরকারের এ প্রশংসনীয় উদ্যোগ অনেকটা শুভঙ্করের ফাঁকির মতো হয়ে পড়েছে। প্রতি বছরই ওষুধের দাম বাড়ছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবের যৌক্তিকতা ভেবে দেখা জরুরী। প্রবীণ পেনশনভোগীদের শেষ জীবনটা সচ্ছল ও আনন্দমুখর থাকুক-রাষ্ট্রের কাছে এ প্রত্যাশা করা কি অন্যায়?

প্রবীণ পেনশনভোগীদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে আসন্ন বাজেটে কতিপয় সুপারিশ বাস্তবায়নে  সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।  শতভাগ পেনশন গ্রহণকারীদের পেনশন পুনঃস্থাপন ১৫ বছরের স্থলে ৮ বছর করা হোক। শতভাগ সমর্পনের সিদ্ধান্তটা যে বেঠিক হয়েছিল তা খুব অল্প সময়ে প্রমান হয়েছে। ইতোমধ্যে তা বাতিল করে আবারো পেনশন প্রথা চালু হয়েছে। আমরা একে সাধুবাদ জানাই। শতভাগ সমর্পণের ভালো মন্দ দিক বিবেচনা না করে বেশ কিছু কর্মচারী শতভাগ সমর্পন করে কি দুর্দশায় আছেন তা অবর্ননীয়।

সিনিয়র পেনশনভোগীদের ভাতা জুনিয়র পেনশনভোগীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হোক। চাকরিজীবীদের মতো অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা করা হোক। পেনশন গ্রহণকারীদের চিকিৎসা ভাতা ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হোক। পেনশন গ্রহণকারীদের সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে গণ্য করে সরকারি হাসপাতালের কেবিনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাড়ামুক্ত রাখা হোক। বেসরকারি হাসপাতালে ৫০ শতাংশ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হোক। রেল, লঞ্চ, বাস ও বিমানে ৫০ শতাংশ ভাড়া মওকুফের সুবিধা দেওয়া হোক। প্রতি বছর চিত্তবিনোদনের জন্য তাদের ১ মাসের মূল বেতন প্রদান করা যেতে পারে। এ সব ব্যবস্থা করলে সিনিয়র সিটিজেনরা যারা সারা জীবন উৎসর্গ করেছিল জাতীর সেবায় তারা সম্মানিত হবে  এবং সামাজিক সুরক্ষাও পাবে।

প্রতিটি জেলা ,উপজেলায় সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য অফিস এবং গতিশীল সংগঠন থাকা দরকার। সিনিয়র সিটিজেনরা বিশেষত; সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা চাকুরী জীবনে অনেক কিছু বুঝলেও আইনের বেড়াজালে করতে পারেনি। অথবা প্রস্তাব দিলেও সরকার গ্রহণ করেননি। অথবা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের রোশানলে পড়তে হয়ছে।  ফলে অতি প্রয়োজনীয় কোন কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। অবসর গ্রহণের পর তিনি খোলামেলা ভাবে এই সমস্ত মতামত দিতে পারেন। এই সব মতামত সরকারের প্রশাসনের কোন দপ্তর গ্রহণ করে বিবেচনার জন্য উর্ধতন মহলে প্রেরণ করতে পারেন। এটা নিয়মিত নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে পর্যালোচনা হতে পারে। এই সব পর্যালোচনা প্রতিবেদন সময়ে সময়ে সরকার প্রকাশ করতে পারে। এতে দেশ এবং জাতি উপকৃত হবে। আশা করি চলতি বাজেটে এ বিষয়ে একটা দিক নির্দেশনা থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© News Net 24 BD All rights reserved 2019
Design & Developed BY Hostitbd.Com