৭/৭/২১ আজকের পত্রিকা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনা আরো ২ সপ্তাহ ভয়াবহ থাকতে পারে। আগামী ৩ সপ্তাহ সর্বোচ্য প্রাণহানির আশংকা।অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ার বিকল্প নাই। এরই মধ্যে সহশ্রাধিক ডাক্তার বদলি , আমরাও তার নিশ্চয় কিছু ভাগ পাব। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। মন্ত্রণালয়ের ডাক্তার অনেক দিন আগে মারা গেছেন , বদলী হয়েছেন। ১ জন নয় কয়েক জন। টি.আর ,জি আর এর (?) কাজের লোকদের মতো কর্মস্থল বদলী করেছে ওয়ার্ক সরকাররা। ডাক্তার আর চিকিৎসা ব্যবস্থা সর্ম্পকে নুন্যতম ধারনা থাকলে এই জাতীয় দুঃস্কর্ম যে হতোনা তা দেশের একজন মুর্খ মানুষও বলে দিতে পারে। এই সব মহাজ্ঞানী মানুষেরা এই জাতীয় কাজটা করলো কিভাবে সে এক গবেষণার বিষয়। সরকারের উচিত এসব বিশেজ্ঞদের সেই নব দেশে রপ্তানী করা দরকার, যে সব উন্নত দেশ করোনা নিয়ন্ত্রনে হিমসিম খাছে। কারণ তাদের দেশে তো এত মেধাবীরা নাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের এইসব এই সব তীব্র মেধাবীদের মুল্য দেওয়ার মতো সামর্থ গরীব দেশের নাই। আচ্ছা আমরা যদি এই মন্ত্রণালয়টি তুলে দিই , তাহলে জাতির কতটা ক্ষতি হতে পারে। যারা , তাদের লোক মারা যায় তার খবর রাখতে পারেনা। তাদের বোধ হয় জিবিত লোকের খবরেও গড়বড় আছে। সে হিসাব দিতেও কমিটি গঠন করতে হবে।প্রসংগ ঃ ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল। করোনা এখন বার্নিং ইসু। ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল করোনা ছড়ানোর সকল উপায় আছে। বিষয়টাতে অনেকে নজর রাখছে। তারা তাদের মেধা ও সাধ্য মতো পরামর্শ দিচ্ছেন। সব পরামর্শ ই ভালো। তবে কিছু কিছু পরামর্শ খুবই জরুরী। সাথে সাথেই সম্পন্ন করা দরকার। ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত রোগিরা অবস্থা দেখে ভয়ে পালিয়ে আসছে তার মানে সেখানে নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া এতটাই নাজুক। এই প্রক্রিয়ায় করোনা আরে বিস্তার লাভ করবে এটা স্বাস্ব্যবিধি , ভাইরোলজি . মাইক্রোবাইওলজি ,প্যারাসিটামল কোন জ্ঞানই লাগবেনা।
ঠাকুরগাঁও জেলার কমুউনিটি ক্লিনিক গুলিকে মোট কতজন এমবিবিএস ডাক্তার কর্মরত আছেন , এর কোন তালিকাও সিভির সার্জন অফিস , বা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে হয়তোবা পাওয়া যাবেনা। এটার একটু খোজ নিতে পারলে ভালো হতো। প্রয়োজনে এদেরকে সমন্বয় বদলী করে জরুরী অবস্থাটা মোকাবেলা করা যেতো। সরকারি কর্মচারীদের নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের নজীর আছে। ডাক্তারী এমন একটা বিষয় ইচ্ছা করলেই২/৪ মাসে ডাক্তার তৈরি করা যাবেনা। আমরা কি এমন করতে পারিনা এই জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় পাশাপাশি ২/৩ টি ইউনিয়নে একজন ডাক্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলে অনেকটা উপকার হবে। ৭/৭/২১ তারিখে ‘আজকের কাগজে’ ছাপানো হয়েছে ‘ নমুনা দিতে এসেও সংক্রমনের ঝুকি’। আমাদের সিভিল সার্জন সাহেব নিবির পর্যবেক্ষন করেন , উদ্বীগ্ন হচ্ছেন , তিনি নজরে রাখেন , খবরের কাগজের প্রতিনিধিদের তিনি এসব কথা বলেছেন। ঠাকুরগাঁও হাসপাতালের এই কোভিড নমুনা নেওয়ার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করার জন্য কত কত লেখা অনলাউনে অফলাইনে, ফেসবুকে ঘুরপাক খাচ্ছে। সিভিল সার্জন মাঝে মাঝে দয়া করে উদ্বীগ্ন হচ্ছেন। বিষয়টি নজরে রেখেছেন ,সেটা তার নজরে আাছে। প্রশ্ন হলো তিনি কতদিন ধরে উদ্বীগ্ন থাকবেন , বা কতদিন বিষয়গুলি নজরে রাখবেন। আমার ধারণা এই কাজটা সম্ভবত সিভিল সার্জনের দায়িত্বের মধ্যে পরেনা। তাহলে একটা বিবৃতি দিলেইতো চলো। এটা যদি তার কাজ না হয় , সম্ভব হলে যার কাজ তার নাম বলবেন। আমরা যারা খামাখা উদ্বীগ্ন তারা তার কাছে যাব। এদিকে কোভিড পরীক্ষার বেহাল অবস্থা, আরো বেহাল হয়েছে কেউ কোন খোজ খবর রাখেনা। সিভিল সার্জন অফিসে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা আফরিন নাজনীন হাসপাতালের টিকাদান বিষয়ে যে সব তথ্য দিয়েছেন তাও গোলমেলে। অর্থাৎ কোন সমন্বয় নাই। পরীক্ষা করাতে এসে অনেকে ফিরে যাওয়ার কারণ হতে পারে ‘তারা দেরীতে পরীক্ষা করতে এসেছে’ এ কেমন দায়িত্বহীন কথা। আমার মেয়ের কোভিড পরীক্ষা করিয়েছিলাম ১৪/৬/২১ তারিখে। বিষয়টি টেলিফোনে জানানো হয়েছে। তবে মোবাইলে রিপোর্ট পেলাম ৬/৭/২১ তারিখে মাত্র ২৩ দিন পর। এই হলো আমাদের পারফরমেন্স। এখানে সিভিল সার্জনের কোন হাত