নিউজ ডেস্কঃ মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৩৯ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২১ জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেলেন আরও ৪ জন। করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
রোববার (১২ এপ্রিল) করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে ভাইরাসটির সংক্রমণ। গেল ৯ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় দেশে শতাধিক করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর থেকে শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও বাড়ে মৃত্যুর সংখ্যা।
রোববার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮২৮ জন। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৩১৫ জনের শরীরে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৩১ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৬ জন। এদের মধ্যে ১২ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৪ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ৫০ হাজার ৫৯২ জনের অবস্থা গুরুতর।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ তাণ্ডব চলছে। এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৫৭৭ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৯ জনে।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৪৬৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ২৭১ জন।
মৃত্যুর হিসেবে ইতালির পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৬০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৭ জন।
মৃত্যুর তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৮৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৫৪ জন।
মৃত্যু তালিকায় ফ্রান্সের পরের অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ব্রিটেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯৯১ জন।
এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৫২ জন মানুষ আক্রান্ত হলেও দেশটিতে মাত্র ২ হাজার ৮৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৫২ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩৯ জন।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তে সংখ্যা ৭০ হাজার ২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩৫৭ জনের।
ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীন পরিস্থিতি সামলে আনলেও এর আক্রমণে বিশ্বের অন্যান্য দেশ টালমাটাল।