নিউজ ডেস্কঃ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৭৬৬ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৮১ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৫৯১ জন। এদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ৬ জন মহিলা।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৩ জন।
এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯৬ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ৮৬৫ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ লাখ ৭০ হাজার ৪১৫ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে, ৫৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৬ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে।
আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৬২১ জন। এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৫৬৪ জন।
মৃতের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫ হাজার ২৯৩ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫ হাজার ৭৫১ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটিতে করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ জন। মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে দেশটি। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৮ হাজার ১৪৪ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ৯ লাখ ৭ হাজার ৭৫৮ জন। আর মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৮৪ জন।
সুস্থতার দিক থেকেও প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (২৮ লাখ ৪৩ হাজার ২০৪ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪০ জন), এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত (১৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৩৬ জন)।গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।