নিউজ ডেস্কঃ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৬৪৪ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫২৫ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৬২৫ জন। এদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী।শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ১২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩৫ জন।
এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৩৫৩ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮৯ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৫ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৫ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে, ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ২৬৬ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে।
আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭১ জন।
মৃতের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫ হাজার ৯০৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১১ হাজার ৩৬৯ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটিতে করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ২৫ হাজার ২২২ জন। মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে দেশটি। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৯ হাজার ১৩৪ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ৯ লাখ ১২ হাজার ৮২৩ জন। আর মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৯৮ জন।
সুস্থতার দিক থেকেও প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (২৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৭ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩০২ জন), এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত (১৮ লাখ ৭ হাজার ৫৫৬ জন)।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।