নিউজ ডেক্সঃ বিজয়া দশমীতে দেবীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব। শুভ শক্তির জয়ের প্রত্যাশা জানিয়ে দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন ভক্তরা। ছিল পূজার আনন্দের রেশ আর বিদায়ের সুরও। আসছে বছর আবার হবে, এই প্রত্যাশায় এবার আনন্দের রেশটুকু থেকে যাবে আগামী সময়ের জন্য।
আনন্দ বাঁধনছাড়া। এ যেমন অশুভ শক্তি দমনের বিজয়, তেমনি ধরায় দেবী দুর্গাকে বিদায়ের আগে শেষ আনন্দ আয়োজনও। ধুপ দীপ ফুলে বন্দনা করা হয় দেবী দুর্গার। দর্পণ বিসর্জনের পর দেবীর পায়ে সিঁদুর ছুঁইয়ে একে অপরের গালে মাখিয়ে দেন সিঁদুর। সাথে মঙ্গলের বার্তা।
মন্ত্রপাঠে বিহীত পূজার পর দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয় মূল পূজার আনুষ্ঠানিকতা। সাথে ঢাকের শব্দ, অঞ্জলি উলুধ্বনিতে অশুভের বিরুদ্ধে শুভর বিজয়ানন্দ।
একজন বলেন, যে আনন্দ এবার দিয়েছে, এটা যেনো আগামী বছর ও দেয়। সেইটা আশা করি।
আরেকজন বলেন, নারীকে শ্রদ্ধা জানানোর এমন ভালো আয়োজন আর নেই।
একদিকে অশুর বিনাশিনী আরেকদিকে মমতাময়ী। শক্তি আর মাতৃরূপ এই দুই শক্তিতে তিনি মঙ্গলময়ী ও কল্যাণময়ী আর দেবকুলে পরম পূজনীয়। সকল সৃষ্টি আর মানুষের জন্য তিনি যে শুভবুদ্ধির বার্তা নিয়ে আসেন পৃথিবী সেখানেই সর্বজনীনতা নিহীত বলে মনে করেন আগতরা।
একজন বলেন, পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে, সুষ্ঠু ভাবে প্রকৃত মানুষ হিসেবে বসবাস করতে পারি, সেটাই মায়ের কাছে আমাদের আকুল আবেদন।
দুর্গা পূজা শুধু আরাধনার উপলক্ষ নয়, ধর্ম সম্প্রদায়ের শ্রেণীর গণ্ডি
ছাড়িয়ে মিলনমেলাও । তাই ঢাকেশ্বরী মণ্ডপে পূজা শেষে সবার সাথে প্রতিমার
পায়ে অঞ্জলি প্রদান করেন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা দাস গাঙ্গুলী। পরে পূজার
শুভেচ্ছা জানান সবাইকে।