নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ে মোবাইল চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে নির্যাতনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাগন। আজ দুপুরে সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে উপস্থিত হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
জেলা প্রশাসক নির্যাতিত শিশুর স্বজনদের কাছে ঘটনাটি দুঃখজনক বলে আক্খায়িতক করে সমবেদনা জানান। সেই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত শাস্তি হবে মর্মে তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। পরে তাদেরকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে কিছু খাদ্য সামগ্রী এবং চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা প্রদান করেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুরকুতুবুল আলম, পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ মে মোবাইল চুরির অভিযোগে পীরগঞ্জ উপজেলার ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামের ইউনুস আলী ওই দিন প্রতিবেশী ফরজতুল্লাহ ছেলে সুমন (১৩) ও আব্দুল গফুরের ছেলে কামরুল (১৫) কে তার বাসায় ডেকে নেয়। পরে দুই শিশুর হাত-পা বেঁধে শালিসের নামে ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে বেধরক মারধর করে নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় ৫ জুন শিশু সুমনের মা বাদি হয়ে ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে পীরগঞ্জ থানায় বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো গ্রেফতার হয়নি কেউ।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, এ ঘটনা অত্যান্ত নিন্দনীয় যা কখনো কাম্য নয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।