নিউজ ডেক্সঃ তোর থেকে বড় সাংবাদিক জন্ম দেই, রাতে আবার ধংস করি, তুই মনে করিস না আমি ভেসে আসছি। তুই পত্রিকায় দিবি কি হবে। সারা বাংলাদেশে এভাবেই কাজ চলছে। চেম্বার ও ভাটা সমিতিতে ভোটে হয়েছি রমেশ বাবু (এমপি) আমাকে আটকাতে পারেনি। ঠাকুরগাঁও সদরে নিম্নমানের ইটে রাস্তা তৈরির করার সময়, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে ফোন করে বাজে ভাষায় গালমন্দের পর এমন কথা বলেন ঠাকুরগাঁওয়ের এক প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার। পরবর্তিতে সেই অডিও রেকর্ডটি ছড়িয়ে পরলে জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে নির্মাণ কাজে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৩নং আকচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এসময় পঁচা ও নিম্নমানের ইট বিছানো হয় সড়কের । ট্রাক্টরে করে আনা ইটের খোয়ার বিপরীতে ফেলা হয় রাবিস। তড়িখড়ি করে কাজ শেষ করার চেস্টায় শ্রমিকরা।
নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ চলমান রাখায় স্থানীয়রা গনমাধ্যমকর্মীদের খবর দেয়। এসময় কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে চিত্র ধারন করতে গেলে বাঁধা দেয় ঠিকাদারের লোকজন। বাধাঁ উপেক্ষা করে চিত্র ধারনের পর ফিরে আসলে কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার মুরাদ হোসেন সংবাদকর্মী কুঞ্জ পালকে ফোন করে গালমন্দের পর দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
ঠিকাদার মুরাদ হোসেনের গালমন্দ ও হুমকি দেয়া অডিও রেকর্ড থেকে শোনা যায়, কুন্ডু পাল তোর বাসা কথায়, তোকে দেখা করতে বলছিলাম, তুই আমাকে চিনিস আমি চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি ঠাকুরগাঁও জেলার আট বছর থেকে। রমেশ কাকা (এমপি) আমাকে ছেলে মত মানে। টিটো দত্ত (উপজেলা চেয়ারম্যান) আমার বন্ধু। আমি ভাটা সমিতির সভাপতি। তুই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করছিস। তোর থেকে বড় সাংবাদিক জন্ম দেই। রাতে আবার ধংস করি। তুই মনে করিস না আমি ভেসে আসছি। তুই পত্রিকায় দিবি কি হবে। সারা বাংলাদেশে এভাবেই কাজ চলছে। চেম্বার ও ভাটা সমিতিতে ভোটে হয়েছি রমেশ বাবু (এমপি) আমাকে আটকাতে পারেনি। এছাড়াও তিনি বলেন কর কত নিউজ করবি তাকে দেখে নিবো। পাঁচ মিনিট নয় সেকেন্ডে অডিওতে আরো অভন্দ্র ভাষায় কথা বলেন ঠিকাদার। আর এমন অডিওটি জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ছড়িয়ে পরলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টাস ইউনিটির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাসিনুর রহমান বলেন, অডিওটি শুনেছি, একজন ঠিাকাদার ও সমাজের ভদ্র লোক হিসেবে যাকে সবাই চিনে তার কাছ থেকে এমন আচরন কাম্য নয়। নির্মাণ হওয়া কাজ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ঠিকাদার মুরাদ হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
জেলা এলজিইডির শাহারুল আলম মন্ডল জানান, এলজিইডির তত্বাবধানে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কাজটি নির্মানের দায়িত্ব পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (এম এইচ আর আই) যা প্রোপাইটর মুরাদ কাজটি শেষকাল ছিল ২০২২ সালের মে মাসে। কাজটি নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি দ্রুত সময়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, সড়কটিতে ইট বিছানোর পর আট দিনের মাথায় কাজ সমাপ্ত হয়।