নিউজ ডেস্কঃ প্রতিবেশিদের সঙ্গে ভালো যাচ্ছে না ভারতের সম্পর্ক। ৩ সপ্তাহের সীমান্ত উত্তেজনা শেষে কিছুটা স্থির হয়েছে লাদাখ নিয়ে চীনের সাথে উত্তেজনা। থেমে নেই নেপাল বা পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ভুটানও মাঝে মধ্যে জানান দিচ্ছে সম্পর্ক অবনমনের কথা। এমন পরিস্থিতিতে এখনো কিছুটা ভালো সম্পর্কই অব্যাহত রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত দুই প্রতিবেশি দেশের।
সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সব থেকে বড় বাণিজ্য সহযোগী দেশ বাংলাদেশ। প্রতি বছর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েই যাচ্ছে। ২০১৮-১৯ সালে ভারত বাংলাদেশে প্রায় ৯.২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। আর বাংলাদেশ থেকে ভারত আমদানি করেছে ১.০৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
আরো পড়ুন: চীনা সেনারা সরলেও সীমান্তে কড়া নজর ভারতের
তবে এ বছর মহামারি করোনা ভাইরাস দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি দুই প্রতিবেশি দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে উঠেপড়ে লেগেছে চীন। তাই এবার এই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত।
চীন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে তারা নিজেদের দেশে বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা দেবে। ভারতের সঙ্গে রেষারেষির জন্যই চীনের এমন সিদ্ধান্ত বলে ধরা হচ্ছিল। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি বাংলাদেশকে বাণিজ্য ঘাটতি ও ঋণের ফাঁদে ফেলতে পারে এই পদক্ষেপ। আর তাই প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত।
ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের বাধাহীন প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে ভারত। একইসঙ্গে ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে বাংলাদেশকে পণ্য পরিবহণের সুবিধা দেওয়ার কথাও ভাবছে দেশটি।
সূত্র: জি২৪ বাংলা