নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে প্রাইভেট পড়–য়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ধর্ষনের শিকার হওয়া ওই শিক্ষার্থী এখন মূমূূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হলেও অভিযুক্ত শিক্ষককে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আর পুলিশ বলছেন অভিযান অব্যাহত রয়েছে দ্রæত সময়ের মধ্যে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের ধীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এসএসসি পরিক্ষায় ভাল ফলাফলের আশায় দুই বছর ধরে প্রাইভেট পরতো এলাকার সকল ভিটা গ্রামের প্রাইভেট শিক্ষক প্রভাত চন্দ্রের কাছে। পরিক্ষা শেষ হওয়ায় রোববার সকালে ফোনে করে শিক্ষার্থীর কাছে থাকা পুরাতন বই নেয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। পরে কৌশলে ওই ইনিয়নের ফেলে রাখা একটি কক্ষে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষন করে রাস্তার পাশে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষক প্রভাত। এ ঘটনার পর স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নিকটতম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাৎক্ষনিকভাবে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে ওই দিন বিকেলে প্রভাত চন্দ্র ও লিটন দাসের নাম উল্লেখ করে হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তরা কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় আজ সোমবার দুপুরে তার সহপাঠিও এলাকাবাসি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন সহপাঠি, স্বজন ও স্থানীয়রা।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ রকিবুল আলম জানান, ধর্ষত মেয়েটির অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। বর্তমানে সে কিছুটা ভাল আছে। একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তার সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি প্রভাত কৌশলে এ কাজটি করেছে। আমরা আরো তথ্য সংগ্রহ করছি। আসামী গ্রেফতারে আমরা তৎপর রয়েছি।
চলতি বছর হরিপুর উপজেলার ধীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে ওই শিক্ষার্থী।