নিউজ ডেক্সঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা খগেন্দ্র নাথ সরকারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে বিভিন্ন সামাজিক ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ পরিবশেন করা হয়েছে। ভুল তথ্য উপস্থাপন হলে বিষয়টি দৃস্টি গোচড় হয়। মুলতঃ ৩২ বছর ধরে নিষ্ঠা ও সততার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালন করায় কর্তৃপক্ষ সন্তুস্ট হয়ে কয়েকবার খগেন্দ্র নাথ সরকারকে পুরস্কৃত করেছেন। বর্তমানে দায়িত্বরত সালন্দর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের আওতায় সালন্দর ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সংযুক্ত অফিস হওয়ায় কাজের পরিধিও বেশি। তিনজন ভুমি অফিসারের পদ থাকা সত্বেও দুটি পদ শুন্যতার কারনে অতিরিক্ত কাজ একজনকেই করতে হচ্ছে। এলাকার কিছু ভুমি ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যু এবং একটি কুচক্রী মহল অন্যায় সুবিধা পেতে বানোয়াট ও ভিক্তিহীন অভিযোগ আনয়ন করে। আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সত্যতা না পেলেও গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে সংবাদকর্মীকে দিয়ে ভুল সংবাদ পরিবেশন করে। সংবাদকর্মী তার মনগড়া সংবাদ তৈরি করে ছড়িয়ে দেয় বিভিন্ন জায়গায়। সংবাদে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য না নিয়ে সংবাদকর্মীর ইচ্ছেমতো বক্তব্য প্রকাশ করেছে যা দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত। অভিযোগকারিগণ বরাবরই অন্যায় সুবিধা পেতে চাপ প্রয়োগ করেন। যা নিয়ম বর্হিভুত। আর সেই কাজের বিষয়ে অপরাগতা প্রকাশ করা হলে সংবাদকর্মীর আশ্রয় নিয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বর্তমানে এই ভুমি অফিসে নামজারী এবং ভুমি উন্নয়ণ কর আদায় সেবার কাজ অস্বাভাবিক। পাশাপাশি হোল্ডিং আপলোডের কাজ চলমান। অন্যান্য ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তুলনায় এ অফিসের কাজের পরিধি বেশি হওয়ায় প্রতিদিন ২ থেকে ৩শ মানুষকে সেবা প্রদান করতে হচ্ছে। যা একার জন্য কস্টসাধ্য। এছাড়া এসব কাজের সময় বিদ্যুত বিভ্রান্ট ও নেট সমস্যায় পরতে হয় নিয়মিত।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে মোঃ সাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি জগন্নাথপুর মৌজার ভুমি উন্নয়ণ কর প্রদান করতে আসলে তার হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়। এসময় অফিসে ভীর থাকায় এবং তার খারিজ খতিয়ানের দাগে খাস জমি থাকায় যাচাই করে ভুমি উন্নয়ণ কর নেয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু উক্ত ব্যক্তি সময় না দিয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মহোদয়ের নিকট এ সক্রান্ত একটি অভিযোগ করেন। যার কোন ভিক্তি নেই। কারন নামজারীর ক্ষেত্রে বর্তমানে অনলাইনে আবেদন করতে হয় সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবরে এবং সেখানেই নথি জমা দিতে হয়। আবেদনের নথি ইউনিয়ন ভুমি অফিসে জমা নেয়া হয় না। আর জমাকৃত খারিজ প্রার্থীর জমি তদন্তের জন্য অনলাইনে নামজারী নথিটি ইউনিয়ন ভুমি অফিসে প্রেরণ করেন। পরে ইউনিয়ন ভুমি অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রস্তাব অথবা প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। আর সেই প্রস্তাব এবং প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই সহকারী কমিশনার (ভুমি) মহোদয় যাচাই বাছাই করে নামজারী অনুমোদন বা অন্য কোন আদেশ দিতে পারেন। যা একমাত্র সহকারী কমিশনার (ভুমি) মহোদয়ের এখতিয়ার এবং অনুমোদিত নামজারী কেসের সমস্ত ফি উপজেলা ভুমি অফিসে আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তার কোন করণীয় নেই। কাজেই এখানে দূর্নীতির কোন সুযোগ নেই।
অপরদিকে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে মোঃ সাকির হোসেন তার ভুল বুঝতে পেরে সেচ্ছায় তার দাখিলকৃত অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন। তাই যে সংবাদটি প্রকাশ হয়েছে দুঃখজনক ও মানহানিকর। সেই সাথে সংবাদটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ও জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিনের ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা খগেন্দ্র নাথ সরকার।