আমরা কদিন ধরে লেখালোখি করছিলাম কালিবাড়ীর দোকানগুলির নির্ধারিত ঘরে তোলার ব্যবস্থা করা হোক। কেননা দোকানদাররা দোকান ঘরকে ষ্টোর বানিয়েছে আর রাস্তাতে রেখেছে মালামাল। বাজারে সবই আছে নাই শুধু ক্রেতাদের চলাচলের রাস্তা। অন্য সময় সমস্যা হলেও বাজারে মৃদু উশ্মা প্রকাশ, পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার প্রতি বিষোদগার করে বিরক্ত হয়ে বাজার থেকে আসলে ওসব ভুলে যাই। তবে এখনকার পরিস্থিতিতে বিষয়টা অন্য রকম। কমপক্ষে তিন ফুট দুরত্বে থেকে মানুষের সাথে কথা বলতে হবে। তাও আবার মাস্ক পড়তে হবে। কোন ভাবেই কারো গায়ে যেন কারো গা না লাগে। আমাদের আবেদন এবং সরকারের সিদ্ধান্তে জেলা প্রশাসক সবজি বাজারটা বড় মাঠে এনেছেন। কাজটা খুবই ভালো হয়েছে বলে মনে করার কারণ আছে। কেননা আমাদের বড় মাঠটি এমন একটা জায়গা ৫০ টি কালিবাড়ী বাজার এখানে আনা যাবে। যত খুশী জায়গা ব্যবহার করা যাবে। জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা করে দিয়েছে নিরাপত্তা সুবিধাটা আমাদের জন্য। আমি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি কেউ ফেসবুকের কল্যানে বিরুপ মন্তব্য করেছেন। তাদেরকে আমি আপাতত মুর্খ হিসাবেই অভিহিত করতে চাই। পরামর্শ দিব আপনি কিনতে শুরু করেন। হয়তো বাজারের সব জিনিষ পাবেননা। তবে আপনি কালিবাড়ী বাজারে না গেলে সকল দোকানদার সুর সুর করে আসবে। আসবে তার কারণ হলো এখন সবচে সুদিনে আছে ঔষধের দোকান আর মুদি সবজির দোকানীরা। তাদের প্রয়োজনেই তারা আসবে। আমরা ভদ্রলোকরাতো কালিবাড়ী বাজারে গিয়ে নিজেরা ভদ্রতা বজায় রাখতে গিয়ে গলা কাটার সুবিধা করে দিই। এই সুযোগে বিনা পয়সার ১ টা পরামর্শ দিই। যারা বাজারে গিয়ে তালিকা ধরে এটা, ওটা, সেটা এত কেজি করে দেন। তার পর জিজ্ঞাসা করেন কত দাম হলো। তিনি বললেন স্যার এত টাকা । আপনি দিয়ে চলে এলেন। কোনটার দাম কত নিলো জিজ্ঞাসা করেননা। এই ভদ্রতার প্রয়োজন নাই। বাজারে গেলে ২ মিনিট ব্যয় করে মালামালের দাম যাচাই করবেন। ২ দিন করে দেখেন। টের পাবেন এ পর্যন্ত ভদ্রতার খাতিরে কি পরিমান মূল্য দিয়েছেন। চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করবে। যা হোক ধান ভানতে শীবের গীত হলো। তাতে কারো কারো উপকার হতেও পারে। বড় মাঠে প্রাথমিকভাবে কষ্ট বা অতৃপ্ত থাকলেও বড় মাঠেই বাজার করুন। আপনার ও আপনার পরিবারের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই।