নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও এমপি’র বাসভবন সংলগ্ন সদরের রুহিয়ায় আজাদ মেলায় রমরমা লটারি বাণিজ্য চলছে। দিনভর মাইকিং করে লটারি বাণিজ্য থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পিইসি পরিক্ষা চলমান অবস্থায় মেলাকে কেন্দ্র করে লটারি বাণিজ্য চলায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অবিলম্বে মেলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন জেলাবাসি।
জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের বাস ভবন। বাস ভবনের পাশেই ১১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রুহিয়া আজাদ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এ মেলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে মেলার আয়োজক কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয় সেখানে গরু-মহিষের হাট, শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থাসহ ব্যবসা বাণ্যিজের প্রসার ঘটনোর ব্যবস্থা করা।
কিন্তু মেলার আয়োজক কমিটি সেখানে নৃত্য যাত্রাপালা ও লটারির জমজমাট বাণিজ্য খুলে বসেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০-৩০ টি অটোবাইক যোগে মাইক নিয়ে নিয়োগকৃত কর্মীরা লটারি বিক্রি করতে জেলা বিভিন্ন প্রান্তে ছুটেছেন। পুরস্কা হিসেবে মোটরসাইকেল, ফ্রীজ, কালার টেলিভিশনসহ আকর্ষনীয় সামগ্রী প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিটি লটারির টিকিট বিক্রি করছেন ২০ টাকায়।
আর দিন শেষে ৭১টি বাক্স ভর্তি বিক্রির লটারির অংশ মেলায় আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে রাত ১টা পর্যন্ত পরিচালনা করে উপস্থিত ব্যাক্তিদের মাধ্যমে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন। আর যারা অনুপস্থিত তাদের জন্য লটারি অনুষ্টানটি স্থানীয় ক্যাবল টিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করছে। অন্যদিকে সারারাত চলছে নৃত্য যাত্রা। এ অবস্থায় চলমান পিইসি পরিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনযোগী না হয়ে টিভির পর্দায় লটারি অনুষ্ঠান দেখছে। ফলে পড়ালেখায় বিঘিœত হলেও অভিভাবকরা নিরুপায়। এ অবস্থায় অবিলম্বে মেলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবসি।
এ বিষয়ে মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঠাকুরগাঁও চন্দ্র সেন জানান, মেলায় তেমন কেনা বেচা নেই। তাই লটারি চালিয়ে মেলা পরিচালনার জন্য কিছু টাকা আয় করছি মাত্র। তবে আমরা সচেতনভাবেই মেলা পরিচালনা করছি।
আর রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন জানান, মেলায় লটারির অনুমতি নেই। মেলা কমিটি আমাদের না জানিয়ে তা পরিচালনা করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।