নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ে দিনে দুপুরে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের সাবেক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের বাড়িতে ঢুকে চেক ছিনতাই আসবাপত্র ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত করে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে হাফিজুর রহমান উল্লেখ করেন, আমার ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় অবস্থান করায় এজাহারে উল্লেখিত আসামীগণ প্রায় সময় চাঁদা দাবি করতো। আমি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরবর্তিতে গত ৬ জুলাই দুপুরে হঠাৎ করে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসা নারী ও কাজের মেয়ের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে তাৎক্ষণিক ১ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় টাকা দিতে রাজি না হলে তারা ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করে। আমার ঘরের শোকেজের ভেতরে ড্রয়ারে থাকা স্বাক্ষরিত সোনালী ব্যাংকের এক লাখ টাকার চেক ছিনতাই (চুরি) করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে উক্ত টাকা উক্তোলন করতে না পেরে। আবারো ৭ জুলাই দুপুরে ০১৭৪৪৪৫৩১৮০ নম্বর থেকে ফোন করে জানায় চেকের বিষয়টি ব্যাংকে অবগত করায় তা উত্তোলন করতে পারিনি। এখন ১ লাখের বিপরীতে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। অন্যথায় বাড়ির বাইরে পেলে মেরে ফেলা হবে। উপায় না পেয়ে হাফিজুর রহমান থানার দারস্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহারে শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়ার রজিউর রহমান রাজু, টার্মিনাল এলাকার ওবাইদুলের ছেলে রনি, পূর্ব হাজীপাড়ার আতাউর রহমানের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ও পশ্চিম হাজীপাড়ার হবির ছেলে আমিতসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামী করা হয়।
এ বিষয়ে হাফিজুর রহমান জানান, দিনে দুপুরে নিজের বাসায় যদি নিরাপত্তা না পাওয়া যায় তাহলে সাধারণ মানুষ বসবাস করবে কি করে। থানা পুলিশ আসস্ত করেছেন দ্রæতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তা না হলে এমন ঘটনায় আইশৃংখলার চরম অবনতি হবে।